পরে সন্ধ্যা ৭ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মুক্ত বাংলার পাদদেশে ১৯৭১ সালের বিভীষিকাময় কালরাতের অপারেশন সার্চলাইট, জাতির ইতিহাসের সূর্যসন্তান শহীদদের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান।
এসময় তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসে। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে গণহত্যা চালায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি গণহত্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আগামীতে যেন এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড না সংঘটিত হয়, এজন্য ২০২৪ এর গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনএফএস অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রিয়াজ কাঞ্চন শহীদ প্রমুখ।
বক্তারা ১৭৯১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা মো. বশির উদ্দিন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তাগণ ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।