ঝালমুড়ি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন গত বছরের ২ আগস্ট ঢাকার বনশ্রী এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার চাচা কালা মিয়া শনাক্ত করেন। সেদিন রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ঈদ উপহার পেয়ে নিহত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শাহানা বেগম বলেন, 'আমার স্বামী ঢাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নেই। ৫ সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি।'
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক উপদেষ্টা নাজমুল হুদা খন্দকার বলেন, 'ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন জসিম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জসিমসহ গণঅভ্যুত্থানে সকল হতাহতদের পরিবারের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া হতাহতদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।'
দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিহত ৮ জনের পরিবারের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।