স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মাজারের ২৮তম ওরস শুরু হয়। রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন মাজার পূজা ও গান থামিয়ে ওরস বন্ধের দাবি জানান। মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান তাতে রাজি হননি।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেখানে মাজার ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় শত শত ভক্ত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে গতকাল রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দু'টি ঘর পুড়ে গেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য উভয় পক্ষকে ধৈর্যধারণ করে মিলেমিশে থাকার অনুরোধ জানান।'