প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে শহরের ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল শাহীন। এ সময় শরিফুল ইসলাম শামীম নিজেকে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে ওয়ান-ওয়ে সড়ক দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে চান। ট্রাফিক পুলিশ শাহীন তাকে নিয়ম মানতে বললে শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
এ সময় আশপাশের দোকানদার ও পথচারীরা বিষয়টি দেখতে পেলেও শামীম প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।
ঘটনার একপর্যায়ে ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শামীম তাদের একটি মার্কেটের সামনে নিয়ে গিয়ে আরও হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মার্কেটের গেট বন্ধ করে পুলিশ সদস্যদের পেছনে আসতে বলেন এবং তার শক্তি দেখানোর হুমকি দেন।
পরে শামীম মোবাইল ফোনে কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ডাকেন, যারা এসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে, শামীমের আচরণ রূঢ় হয়ে ওঠায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহমেদ কবির বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম শামীম জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নন, তিনি শুধু একজন কর্মী। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার অনুরোধ করেছিলাম।’
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘শহরের যানজট নিরসনে শহীদ রফিক সড়কটি ওয়ান-ওয়ে করা হয়েছে। বিকেলে শামীম ওয়ান-ওয়েরি নিয়ম ভেঙে রিকশা নিয়ে যেতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও হুমকি দেন। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আমান উল্লাহ্ জানান, দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগে শামীম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।