টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চলছে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় ফেইজ ৫ অংশের কাজ। এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গেল ৪ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ ভাগ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও তদারকির অভাবে কাজের এই ধীরগতি বলে অভিযোগ মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। উত্তরাঞ্চলসহ অন্তত ২৩ জেলার লাখো মানুষ মহাসড়কটি ব্যবহার করে। আসন্ন ঈদে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজটের ভোগান্তি শঙ্কায় আছেন তারা।
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ঈদের সময় গাড়ির চাপ থাকবে বেশি এতে জ্যাম পড়বে।’
আরেকজন বলেন, ‘ঈদের আগে কাজ শেষ করতে পারলে আমরা দ্রুত পরিবারের কাছে যেতে পারবো।’
এছাড়া ফিটনেসবিহীন ও বেপরোয়া গতির যানবাহন, অদক্ষ চালক, ওভারটেকিংসহ নানা কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কার পাশাপাশি রয়েছে ডাকাতি আতঙ্ক।
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করলে যেকোনো সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে ভোগান্তি আরো বাড়বে।’
তবে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে চার লেনের সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক। আর যমুনা সেতুতে টোল বুথ বাড়ানোর পাশাপাশি নানা ব্যবস্থার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার মো. রবিউল আওয়াল বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৪ লেন রাস্তা চালু থাকবে। এতে জ্যাম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশা করছি।’
যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ‘আমরা রেগুলার ৬ টা বুথে গাড়ি চালাই কিন্তু ঈদের সময় ৩ বুথ আরো বেশি অ্যাড করো মোট ১৮ টা বুথে গাড়ি চলবে। আমাদের দুইটা র্যাকার গাড়ি সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।’
এদিকে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের পাশাপাশি নানা ব্যবস্থার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা প্রায় সাড়ে ৭০০ লোক এই মহাসড়কের ডিউটি করবে।’
স্বাভাবিক সময়ে যমুনা সেতুতে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদে সে সংখ্যা বেড়ে হয় অন্তত ৫০ হাজার।