সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ সিংহভাগ সম্পন্ন হওয়ায় সড়কপথে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের এবারের ঈদযাত্রায় মিলবে স্বস্তি। কিন্তু এই পথ পেরিয়ে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে হাটিকুমরুল - বগুড়া মহাসড়ক। মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে নির্মাণকাজ চলমান ও কয়েকটি পয়েন্টে সিংগেল লেন থাকায় সৃষ্টি হতে পারে যানজট। যদিও সড়ক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ বলছে ঈদযাত্রা যানজট মুক্ত ও নিরাপদ করতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। এই মহাসড়কটি পার হয়ে হাটিকুমরুল মোড় থেকে রাজশাহী, পাবনা ও রংপুর মহাসড়কে বিভক্ত হয়ে যায় যানবাহন। ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদের আগে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
যমুনা সেতু সংযোগ মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে, বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মাণ করা হয়েছে আন্ডারপাস, ওভারপাস ও ফ্লাইওভার। ফলে এই মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে অনেকটাই স্বস্তির। তবে উত্তরাঞ্চলবাসির ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়ক। হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার এই মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার, ব্রিজ ও সড়ক প্রসস্থকরণের কাজ চলমান থাকায় অন্তত ৩টি পয়েন্টে সৃষ্টি হতে পারে যানজট।
একজন চালক বলেন, ‘এলেঙ্গার ওদিকে দুই লেন আছে, চারলেনের কাজ চলছে। ওদিকে একটু যানজট হতে পারে।’
একজন যাত্রী বলেন, ‘অনেক জায়গায় দুইলেন আছে, সেগুলো চারলেন হয়ে গেলে আর যানজট থাকত না।’
তবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলছেন, ঈদে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের বেশ কিছু স্থান শনাক্ত করে জরুরি মেরামত ও বর্ধিতকরণ করা হচ্ছে। ঈদের আগেই শেষ করা হবে কাজ।
সাসেক-২ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এবার ঈদের আগে আমরা উত্তরবঙ্গের জনগণের জন্য ঢাকা থেকে বগুড়া মহাসড়কে চারলেনের একটি সার্ভিস সড়ক চালু করে দেব। এছাড়াও ঢাকা থেকে পাবনা সার্ভিস সড়ক চালু করে দেব এবং পাবনা থেকে বগুড়ার মাঝে যে সার্ভিস সড়কটি আছে সেটা চালু করে দেব।’
আর হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কে তিনস্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মহাসড়ক জুড়ে মোতায়েন থাকব অতিরিক্ত পুলিশ।
বগুড়া রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো: শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। এক্ষেত্রে আমরা তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো। প্রথমত, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করবো, দ্বিতীয়ত আমাদের মোবাইল ডিউটি থাকবে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা থাকবে।’
প্রতিদিন যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ২২ জেলায় যানবাহন চলাচল করে।