অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ।
হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমার দেখা সবচেয়ে আন্তরিক, অতিথিপরায়ণ ও ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে নিঃসন্দেহে সাতক্ষীরা জেলার মানুষ। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই জেলার মানুষ রাজনৈতিক কারণে নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়ে আসছেন। রাজনৈতিক ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে যেভাবে সাতক্ষীরার মানুষকে নিপীড়ন ও দমন করা হয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল।'
তিনি আরো বলেন, 'ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় পাশে থেকেছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের এই আত্মত্যাগ ও অবদান আমাদের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমরা এমন এক রাজনৈতিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে যাচ্ছি, যেখানে জনগণ আর প্রজা থাকবে না, বরং নাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার ফিরে পাবে।'
তিনি বলেন, 'দীর্ঘ এক দশকের লড়াইয়ে আমাদের ২ হাজারের বেশি সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারে বেশি আহত হয়েছেন। এই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। আমাদের অধিকার আদায়ের সময় এসেছে। এখন আমাদের আর প্রজা হিসেবে নয়, নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের হিস্যা বুঝে নিতে হবে।'
নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, 'আগামীকাল আমরা নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে যাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিত্ব ও মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে শামিল হবে। আমাদের রাজনৈতিক দল এদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং আর কখনো যেন জালিমের শাসন কায়েম না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবে।'
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।