পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে গ্রামের দু’টি পক্ষের মধ্যে বিবাদ ও আদালতে মোকদ্দমা চলে আসছিল।
এদিকে আদালত এলাকার শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু আজ সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল ও এডহক কমিটির সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম মুক্তা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক জরুরি সভা আহ্বান করেন।
এসময় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য হারেজ আলী তাদের বেআইনিভাবে সভা করার প্রতিবাদ করলে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মো.শফিকুল ইসলাম বাবুল ও মো. রফিকুল ইসলাম মুক্তার নেতৃত্বে অন্যান্য সহযোগীরা হারেজ আলীর ওপর হামলা চালায়। এসময় হারেজ আলী ধারালো ফলার আঘাতে গুরুতর আহত হয়।
পরে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ব্যক্তিকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্দুল করিম জানান, এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।