তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুর বিভাগের নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এই ৫ জেলার ডিমলা, হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী, লালমনিরহাট সদর, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, রাজারহাট, উলিপুর ও সুন্দরগঞ্জ এই ১০টি উপজেলার ১১টি স্পটে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট স্পার ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পাকার মাথা এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এরমধ্যে বুড়িরহাট স্পার এলাকায় দুপুর আড়াইটায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু ও হাসিবুর রহমান হাসিব এবং সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।
তিস্তা পাড়ের মানুষ জানান, উত্তরের জীবন তিস্তা নদী। সেই নদী এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ভারত তাদের গজলডোবা ব্যারাজ দিয়ে একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করায় ভাটির দিকে পানি নেই বললে চলে। বইছে ক্ষীণ ধারা।
আর চারদিকে তাকালে চেখে পড়ে শুধু ধূ-ধূ বালু চর। আর বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিলে দু'কূল ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এ নদীর পানি বাড়ার সময় পাড় ভাঙে আবার কমার সময়ও ভাঙে।
কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা রেলওয়ে সেতু থেকে চিলমারী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় রাজারহাট, উলিপুর উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, নাজিমখান দলদলিয়া, থতরাই, গুনাই গাছ ও বজরা ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম রয়েছে। তিস্তা তীরে অবস্থিত এই গ্রামগুলো প্রতিবার ভাঙনের শিকার হচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভাঙন হলেও ৪০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে মাত্র ৩ কিলোমিটারে স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭ কিলোমিটার অরক্ষিত।
প্রতিবছর ভাঙন হয় সেখানে বালি ভর্তি বস্তা ফেলে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। যা কোন কাজে লাগে না। এজন্য দ্রুত স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।