আগাম টমেটো চাষে লাভবান হচ্ছেন মৌলভীবাজারের কৃষক

কৃষি
এখন জনপদে
0

মৌলভীবাজারের আগাম টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। গ্রাফটিং ও মালচিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত টমেটো যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে কৃষিবিভাগের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে চাষিদের। সহজ শর্তে ঋণ ও হিমাগার সুবিধার দাবি তাদের।

কমলগঞ্জে খরিপ ১ ও রবি মৌসুমেও টমেটো চাষ করে সফল হচ্ছেন কৃষক। সবচেয়ে লাভ হয় আগাম জাতের টমেটো খরিপ-১ চাষ করে।

শুকুরউল্লাগাঁও এর তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক আব্দুল মান্নান, চলতি বছরে ১০ বিঘা জমিতে আগাম ও শীতকালীন টমেটো আবাদ করেন, যার উৎপাদন খরচ প্রায় ২১ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন প্রায় অর্ধ লাখ টাকার টমেটো।

তরুন উদ্যোক্তা কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগাম টমেটো যারা চাষ করেছে তারা লোকসানে পড়ে নাই। এখন যে বাজার দর চলছে এতে অনেকেই লাভের মুখ দেখি নাই।’

এখানকার টমেটো যাচ্ছে দেশের নানাপ্রান্তে। এসব বাগানে কাজ করেও স্বচ্ছলতা পেয়েছে চা শ্রমিকরা। তবে পাইকাররা জানান, আগে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন কৃষক পর্যায়ে তা নেমে এসেছে ৫-৬ টাকা কেজিতে।

আগাম ও শীতকালীন টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। বিশেষ করে কমলগঞ্জের মাঠে মাঠে এখন শুধুই পাকা টমেটোর লাল আভা। তবে কৃষকদের অভিযোগ-মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা সেভাবে পাওয়া যায় না। তাছাড়া নেই টমেটো সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা।

পরামর্শ ও সহযোগিতায় কৃষি কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে কৃষকদের উন্নয়নে নানা উদ্যোগের কথা জানালেন এই কর্মকর্তা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কৃষি অফিসার দুই থেকে তিনটা ব্লকে কাজ করছেন। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি কৃষকদের জন্য।’

এবার মৌলভীবাজারে ১২শ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ১৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের। যেখান থেকে শতকোটি টাকার টমেটো বিক্রির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এএম