পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর নাম রত্না আক্তার (১৯)। তার স্বামীর নাম মো. হোসেন। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রত্নার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, ২ বছর আগে রমজান মাঝির মেয়ে রত্না আক্তারের সাথে একই গ্রামের সাইদুল হক সরকারের ছেলে মো. হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারের দাম্পত্য কলহ লেগে আসছিল। রত্নার বাবা রমজান মাঝির অভিযোগ, তার মেয়েকে স্বামী হোসেন হত্যা করেছে। তিনি এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পুলিশের কাছে আটক রত্নার স্বামী মো. হোসেন পুলিশকে জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার সাথে রত্নার মনোমালিন্য ছিলো। যার কারণে তিনি তাকে বকাঝকা করেছেন। এতে সে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকালে তিনি বিষয়টি টের পেলে তাকে লক্ষ্মীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফখরুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের দেহের বাহ্যিক অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।