ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম আজ (রোববার, ১৬ নভেম্বর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্ট্যাটাসে মেহজাবীন লেখেন, ‘আমি মেহজাবীন চৌধুরী। আজ একটি ভুয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমি মনে করি, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছাড়া কিছু নয়। এ ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যে বা যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন আমি কেবল অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্বে নিবেদিত। আমি এমন কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেই, যেখানে আইনি জটিলতায় জড়ানোর প্রশ্ন আসে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দেশের আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক দায়িত্বে বিশ্বাসী। ইতোমধ্যে আমার আইনজীবী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যাতে এসব গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ হয় এবং ভবিষ্যতে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ধরনের কিছু করতে না পারে। একজন শিল্পী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সব সময় দেশের আইন, নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেছি। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি, যার সাক্ষী আমার দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।’
আরও পড়ুন:
শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভিত্তিহীন কোনো তথ্য যাচাই ছাড়া প্রকাশ করবেন না। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত এবং পরিচিতজনদের বলবো—আপনাদের ভালোবাসা ও আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের পাশে থাকুন।’
এর আগে, আদালত গ্রেপ্তার–সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী তার নতুন পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করবেন বলে আমিরুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা নেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় টাকা চাইতে গেলে নানাভাবে কালক্ষেপণ করা হয়।
পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলা হয়। ওইদিন সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং আরও চার–পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমিরুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও সতর্ক করে বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। বাসার সামনে দেখলে মেরে ফেলব।’
এভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পর তিনি বিষয়টি ভাটারা থানায় জানালে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমিরুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।





