শেষ পর্যন্ত গতকাল (শনিবার, ২৫ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ ব্যাখ্যামূলক পোস্ট দিয়ে মুখ খুলেছেন পূর্ণিমা। সেই পোস্টে স্বামী রবিনকেও ট্যাগ দিতে দেখা যায়।
পূর্ণিমা লেখেন, সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিনশেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেইস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সাথে মিলিয়ে ফেলেছে! সেখান থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে; যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে।
পোস্টের শেষাংশে এই নায়িকা পরিষ্কারভাবে জানান, আমার দেয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসার জীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শুরু থেকে দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসার পাশাপাশি সংবাদকর্মীদেরও সাপোর্ট পেয়েছি। আশা রাখি, আগামীতেও আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে, ধন্যবাদ।
এর আগে পূর্ণিমা যে পোস্টটি দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি লিখেছিলেন—মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় বুঝি, তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।
তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত ও মর্যাদাপূর্ণ।
এই স্ট্যাটাস থেকেই ভক্তদের মাঝে নানা জল্পনা শুরু হয়—পূর্ণিমা ও রবিনের দাম্পত্য জীবনে কি ফাটল ধরেছে?
তবে শনিবারের পোস্টে নায়িকা নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করে সেই সব গুঞ্জনে কার্যত পানি ঢেলে দিলেন।
অন্যদিকে, পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনও সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছেন, যেখানে দেখা যায় তিনি পূর্ণিমাকে জড়িয়ে একটি মিরর সেলফি তুলেছেন।
২০২২ সালে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং তিনি পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজের সূত্রেই তাদের পরিচয়, যা থেকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম এবং অবশেষে বিয়েতে রূপ নেয়।
এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর তিনি আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন।





