আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দলে দলে নারী-পুরুষের মিছিল রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে আসে। স্থানীয় ছাড়াও কেউ খাগড়াছড়ি থেকে আবার কেউ কাপ্তাই বা বান্দরবান থেকে এসেছেন।
মাঠে শোভা ছড়ায় বর্ণিল পোশাক, সাজসজ্জা ও চোখ ধাঁধানো আয়োজন। বেলা দেড়টা বাজতেই মাঠের একপ্রান্তে দুই সারিতে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অবস্থান নেয় তরুণ-তরুণীরা। গান শুরু হতেই সামনে রাখা পাত্র থেকে পরস্পরের দিকে পানি ছিটানো শুরু করেন তারা, মাঠে গড়ায় জলোৎসব।
উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘পার্বত্য জেলাগুলো মিলে এবার সাংগ্রাই উৎসবে পারর্ফম করা হয়।’
সাংগ্রাই মানে পুরোনো বছরের সব গ্লানি, হিংসা-বিদ্বেষ, দুঃখ-কষ্টকে ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়া। পাহাড়ের সবচেয়ে বড় এ উৎসবটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জাতির মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রচনা করে। শ্রেণিভেদ ভুলে দৃঢ় হয় সব সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ও আস্থার সম্পর্ক।
আরেকজন বলেন, ‘প্রত্যেকটা উৎসবে সবাই একত্রিত হয়ে আমরা আনন্দ উদযাপন করি।’
পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতি বিকাশে প্রতি বছর এই আয়োজন করা হয়। জলোৎসব ছাড়াও থাকে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
রাঙ্গামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি থোয়াই অং মারমা বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের গান, নাচ ও জীবন সংস্কৃতি এই উৎসবে দেখানো হয়। যাতে আগামী প্রজন্ম জানতে ও শিখতে পারে।'
মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অং চা প্রু মারমা বলনে, ‘২০০০ সাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা মিলে আমরা এই উৎসব করতেছি।’