বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কুমিল্লার যশপুর এলাকা। দিনের আলো ফোটার আগেই অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মাদকের খোঁজে গিয়ে হাতে আসে অস্ত্রের চোরাচালানের নতুন চিত্র। মাদকের আড়ালে আসা প্যাকেট থেকে জব্দ করা হয় দুইটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলিসহ বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয় পর্যায়ে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের এ ভূমির যোগাযোগটা সহজ বলে এবং আমাদের বিজিবি এবং ওইদিকে বিএসএফের বিষয়গুলো তদারকি অনেক কম বলে আগে থেকেই বিভিন্ন পণ্য এ পথে আনা নেয়া করছে। চোরাচালানের একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি হচ্ছে।’
অন্য একজন বলেন, ‘সামনে যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন, এসময়ে তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। আমার মনে হয় যে, সীমান্তে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।’
আরও পড়ুন:
বিজিবি জানিয়েছে, কুমিল্লার সীমান্তকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে অস্ত্র চোরাচালানকারীরা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পরিকল্পনায় এ অস্ত্র ঢোকানো হচ্ছে বলে আশঙ্কা তাদের।
কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, ‘আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এটা জেনারেল তথ্য যে, এ নির্বাচন কেন্দ্রিক দেশে একটা অরাজকতা তৈরির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু অস্ত্র উদ্ধারও হয়েছে। অস্ত্রের যেন কোনো ধরনের চোরাচালান হতে না পারে, সেজন্য আমরা কিন্তু পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি তৎপর রয়েছি।’
চলতি বছরের গেল ১০ মাসে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান করা প্রায় ৬০ কোটি টাকার মূল্যের মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যেখানে আছে অস্ত্র ছাড়াও মাদক, আতশবাজি ও পোশাকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, ‘আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত কোথা থেকে অস্ত্র আসে বা কাদের কাছে এগুলো সরবরাহ যাচ্ছে এবং আগে থেকে সন্দেহজনক অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তাদের ওপর নজরদারি রেখেছি।’
তথ্য বলছে, সীমান্ত পথে অস্ত্রের অবৈধ চোরাচালান ছাড়াও গেল দুই মাসে কুমিল্লায় বিভিন্ন ধরনের ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।





