পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মুফতি মহিবুল্লাহর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন, তবে এখনও শয্যাশায়ী।
গণমাধ্যমকর্মীদের মুফতি মহিবুল্লাহ জানান, গতকাল (বুধবার, ২২ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর হাঁটতে বের হলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা পাঁচজন লোক তার মুখে কাপড় চেপে ধরে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাস ধরে তাকে ইসকনের বিরুদ্ধে কথা না বলতে বিভিন্ন চিঠির মাধ্যমে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এমনকি ইসকনের পক্ষে কথা বললে তাকে কোটি টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়। একইসঙ্গে এনসিপি, বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা না বলারও নির্দেশ দেয়া হয়।
তাদের নির্দেশ না মানলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছিল। মুফতি মহিবুল্লাহ তার জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
তার নিখোঁজের পরদিন পরিবার টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল বলে জানা গেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা পৌঁছালে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা।





