আটক দুই নেতা হলেন— সংগঠনটির ভোলা জেলার সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন (৩০) ও সিনিয়র সদস্যসচিব হাসান মুনতাছির রহমান (২০)।
রকিব সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে ও হাসান মুনতাছির একই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। আটক দু’জনকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রিপন চন্দ্র সরকার জানান, গত ১৯ জুন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন আল আমিন বাদী হয়ে ভোলা থানায় একটি অজ্ঞাতনামা চুরির মামলা করেন।
তিনি জানান, এ মামলার ভয় দেখিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের রাকিব ও মোনতাছির রহমান স্থানীয় মো. শেখ ফরিদের নাতি মো. জিতু জড়িত আছে বলে তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। এমনকি তারা গত ২৬ জুলাই শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে তার নাতি মো. জিতুকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার জন্য পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
আরও পড়ুন:
রিপন চন্দ্র সরকার আরও জানান, এরপর একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়ে ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় গত ৩ আগস্ট তাদেরকে দেড় লাখ টাকা দেন শেখ ফরিদ। পরবর্তীতে আবারও শেখ ফরিদের বাড়ীতে গিয়ে আরও ১০ হাজার টাকা নেন তারা।
পরবর্তীতে আবারও পুলিশের কথা বলে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জিতুর পরিবার ভোলা থানায় গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করে।
এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় দুই আসামি মো. রাকিব ও হাসান মোনতাছিরকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজীর মোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দুই জন পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার। তিনি আরও জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তাদের।





