আজ (বুধবার, ১২ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার ও বেনজির আহমদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।
তবে অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় শামসুল হক টুকু, শহিদুল হক, জিয়াউল আহসান ও মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা সরাসরি হেফাজতের গণহত্যায় জড়িত ছিল বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। হেফাজতের আন্দোলনের মৃত্যুর সংখ্যা কত তা তদন্তাধীন। তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরেই নিশ্চিত সংখ্যা বলা যাবে।’
তিনি জানান, আগামী ১২ মে ট্রাইব্যুনালে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৭ নভেম্বর শাপলা চত্বরের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দাখিল করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।