স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াগড় গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়ার কাছে গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ডের টাকা এবং নোয়াগড় মাদ্রাসা ফান্ডের প্রায় কোটি টাকা রক্ষিত ছিল। ফান্ডের সেই টাকার হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার গ্রামবাসীর একাংশ শাজাহান মিয়াকে তাগাদা দেন। কিন্তু প্রতিবারই শাজাহান মিয়া হিসাব না দিয়ে গড়িমসি করতে থাকেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নোয়াগড় মাদ্রাসা কমিটির আহ্বায়ক বশির মিয়াসহ এলাকার কিছু মানুষ হিসাবের জন্য শাজাহান মিয়ার কাছে গেলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে বুধবার (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জুনাব আলী বলেন, ফান্ডের টাকার হিসেব নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাঈদুল হাছান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের এক পর্যায়ে আমি আহত হই। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’