পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ এর আদ্যোপান্ত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা

গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা
গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা | ছবি: এখন টিভি
0

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পাহাড়ের সবপক্ষের মতামত নেয়া হয়নি। এজন্য চুক্তি স্বাক্ষরের ২৮ বছরেও শান্তি ফিরেনি পাহাড়ে। বরং বেড়েছে রাজনৈতিক বিভক্তি, আঞ্চলিক দলের সংখ্যা আর অপরাধের প্রতিযোগিতা। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন সংস্কার করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-৯৭ এর আদ্যোপান্ত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব বক্তব্য উঠে এসেছে।

আজ (শনিবার, ২২ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ডায়লগ ফর পিস অফ চিটাগং হিলট্রাক্টস-ডিপিসি।

সকাল ১১টায় শুরু হওয়া গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আইয়ুব (অবসরপ্রাপ্ত)। প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবু ইউসুফ (অবসরপ্রাপ্ত)।

ডিপিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন রাঙামাটি জেলায় জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মদ, রাঙামাটি জেলা আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, পিপি অ্যাডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিহির বরণ চাকমা, জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক বিপিন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরাতে সব পক্ষের সমান অধিকার ও মতামতকে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। চুক্তিতে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠীকে অ-উপজাতি বলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উপজাতি, আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নামের আড়ালে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মানুষ এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আত্মপরিচয় সংকটে ভুগছেন পাহাড়ের মানুষেরা। তাই রাষ্ট্রকেই সবার আত্মপরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।

পিপি প্রতীম রায় পাম্পু বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি কোনো আইন নয়। দুই পক্ষের সমঝোতা মাত্র। চুক্তি আইনের ভাষায় রচিত হয়েছে মাত্র। এটি বাস্তবায়নে সরকার বা রাষ্ট্রকে বাধ্য করা যাবে না। এ বিষয়ে ৫টি আইনও করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আত্মপরিচয় সংকটে ভুগছেন পাহাড়ের মানুষরা। আমাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ের ভূমি সমস্যা জিইয়ে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান হবে না।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আইয়ুব (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, এ চুক্তির সঙ্গে এ অঞ্চলের কোন সম্প্রদায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা ভারতের প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সন্তু লারমার চুক্তি হয়েছে। রক্তারক্তি, হানাহানি ভুলে পারস্পরিক অধিকারকে সম্মান দিয়ে সব সম্প্রদায়কে আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তিচুক্তি বিহীন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’

এএইচ