অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির ঐতিহাসিক নিদর্শন

কীর্ত্তীপাশা জমিদার বাড়ি
কীর্ত্তীপাশা জমিদার বাড়ি | ছবি: এখন টিভি
0

অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো। কীর্ত্তীপাশা জমিদার বাড়ি আর শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মভিটাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। যেগুলো সংস্কার-সংরক্ষণ না হওয়ায় ধ্বংসের পথে। অথচ এগুলো সংরক্ষণ করা গেলে হতে পারে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান।

ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা জমিদার বাড়ি। জমকালো স্থাপনা হিসেবে যা এক সময় এলাকাবাসীর গৌরবের কারণ ছিল। বর্তমানে ভাঙা দেয়াল, খসে পড়া ছাঁদ আর আগাছার আস্তরণে মলিন জমিদার বাড়ির সেই জৌলুস।

বাংলার সিংহ পুরুষ শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মভিটাও অযত্ন-অবহেলায় ভগ্নদশায়। এর বাইরেও ঘোষাল রাজবাড়ী, নলছিটির ঐতিহাসিক সুজাবাদের কেল্লা, খানবাড়ি ও প্রাচীন গালুয়া মসজিদসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে কালের গর্ভে হারাতে বসেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্থাপনা গুলো পর্যটনবান্ধব করা গেলে দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি ও অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘ঝালকাঠি একসময় দ্বিতীয় কলকাতা নামে খ্যাত ছিলো। ঝালকাঠির সংস্কৃতি ও এখানকার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ।’

আরও পড়ুন:

স্থানীয়রা আরও জানান, ‘এখানে দর্শনার্থীরা আসেন। সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে না থাকায় এটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। এ নিদর্শনগুলো সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।’

এদিকে, জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘এ দুটি নিদর্শনকে সংরক্ষণ করার জন্য এরইমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বরাবর চিঠি লিখেছি। এ বিষয়ে আমি পার্সোনালিও যোগাযোগ করেছি। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

ইতিহাসের সাক্ষী ও ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো যাতে হারিয়ে না যায়, তাই দ্রুত সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এফএস