যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষায় মরিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-চীনের মত পরাশক্তির সাথে টেক্কা দিতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রণতরী তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন এরমধ্যেই।
ট্রাম্প-ক্লাস ব্যাটলশিপ হবে ইতিহাসের প্রথম গাইডেড মিসাইল ব্যাটলশিপ, যা পারমাণবিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। এর প্রধান লক্ষ্য হবে শক্তি প্রদর্শন, আক্রমণাত্মক হামলা এবং সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা।
ট্রাম্প-ক্লাস হবে এমন এক নতুন শ্রেণির বৃহৎ সারফেস কমব্যাট্যান্ট, যার ধ্বংসক্ষমতা হবে এ পর্যন্ত সমুদ্রে চলা যেকোনো জাহাজের চেয়ে বেশি। দাবি করা হয়েছে, এটি আগের শ্রেণির তুলনায় ৮০ গুণ বেশি দূরত্বে শত্রুকে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন:
আরও থাকছে বড় আকারের মিসাইল ভার্টিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম, যার ফলে এই জাহাজ এমন কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে দীর্ঘপাল্লার হাইপারসনিক হামলা চালাতে পারবে, যেগুলো বর্তমান নৌবহরের আওতার বাইরে। প্রয়োজন অনুযায়ী এটি এককভাবে পরিচালিত হতে পারবে, ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের অংশ হতে পারবে, কিংবা নিজস্ব সারফেস অ্যাকশন গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে পারবে।
ট্রাম্প বলেন, নতুন প্রজন্মের এই জাহাজগুলোতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য ভয়াবহ মারণাস্ত্র সংযোজন করা হবে, যা এগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ ফ্ল্যাগশিপে পরিণত করবে। সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি প্রতিটি জাহাজের ওজন হবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই রণতরী গুলো সবচেয়ে বড় ও ভারী যুদ্ধজাহাজ হবে। বিশেষ করে নৌ-যুদ্ধের জন্য তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ভারী সাঁজোয়া জাহাজ হবে এটি। এই অত্যাধুনিক জাহাজগুলো সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধজাহাজ গুলোর মধ্যে একটি হবে। এটি পূর্ববর্তী আইওয়া শ্রেণীর তুলনায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
অত্যাধুনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা সম্বলিত এই রণতরিগুলোতে আরও থাকবে ইলেক্ট্রিক রেল গান, ক্রুজ মিসাইল এবং বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক লেজার প্রযুক্তি। এগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলেও দাবি যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।




