খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপংকর দাশ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হকের উপস্থিতিতে চলে গণশুনানি কার্যক্রম।
শুরুতে কপিলমুনি বাজারে সড়ক সরলীকরণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের অসারতা তুলে ধরেন এলাকাবাসী। বলেন, প্রভাবশালী একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মালিকের ভবন বাঁচাতে ভুল নকশায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
বর্তমান নকশায় সড়কের বাঁক সরলীকরণ করা হলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ দুটি বাঁকের সৃষ্টি হবে। এতে সরকারি হাসপাতাল ও ডিগ্রি মাদরাসার সামনে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। অবিলম্বে নকশা পরিবর্তন করে সড়ক সোজা করার দাবি জানান সাধারণ মানুষ।
গণশুনানিতে পাইকগাছা উপজেলার ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ফজলে রাব্বি, কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ডিগ্রি মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামিরুল ইসলামসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিক ও ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন খুলনার সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম মুস্তাফিজুর রহমান।
গণশুনানির আগেই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানান ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গণশুনানির শেষে খুলনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক জানান, গণদাবির প্রেক্ষিতে এ বাঁক সরলীকরণ কার্যক্রম পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে মাইকিং করে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে গত ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ সময় বুলডোজার দিয়ে কপিলমুনি জাফর আউলিয়া সিনিয়র ডিগ্রি মাদরাসার দ্বিতীয় তলা ভবন ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পর দিন ৭ ডিসেম্বর রোববার দ্বিতীয় দফা ভাঙন শুরু হলে স্থানীয়দের তোপের মুখে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ১০ ডিসেম্বর সোমবার নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গণশুনানি করে জেলা প্রশাসন।





