ভারী ভারী নির্মাণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে গেলো সোমবার (২০ অক্টোবর) শুরু হয় ইস্ট উইংয়ের সামনের অংশ ভেঙে ফেলার কাজ। পুরো ইস্ট উইং-ই ভাঙতে সময় লাগবে প্রায় তিন মাস। ভবনের এ অংশেই অবস্থিত মার্কিন ফার্স্টলেডির কার্যালয়, একটি থিয়েটার এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশপথ।
১৯৪২ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের শাসনামলে তৈরি হয়েছিল এই ‘ইস্ট উইং’। ইস্ট উইংয়ের নিচেই অবস্থিত জরুরি অবস্থায় প্রেসিডেন্টের সুরক্ষার জন্য নির্মিত ভূ-গর্ভস্থ বাঙ্কার।
ঐতিহাসিক সেই ইস্ট উইং ভেঙে তৈরি হতে যাচ্ছে জমকালো বলরুম, যেখানে থাকবে নাচের ঘর, পানীয় ও নৈশভোজের ব্যবস্থা। হোয়াইট হাউজের পুরনো বলরুমে বর্তমানে ৮৮ জন লোকের জায়গা হয়, যেখানে নতুন বলরুম হবে এক হাজার মানুষ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।
আরও পড়ুন:
চোখধাঁধাঁনো নতুন বলরুম তৈরিতে সোয়া ২০০ বছরের পুরোনো প্রাসাদসম হোয়াইট হাউজের মূল নকশায় হাত দেয়া হবে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করলেও, বাস্তবতা ভিন্ন।
যেখানে পুরো হোয়াইট হাউজের আয়তন ৫৫ হাজার বর্গফুট, সেখানে ৯০ হাজার বর্গফুটের শুধু একটি বলরুম নির্মাণের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখার আগ পর্যন্ত ইস্ট উইং ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর হিস্টোরিক প্রিজার্ভেশন। যদিও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘পুরো কাজটা ঠিকভাবে করতে বর্তমান কাঠামো আমাদের ভেঙে ফেলতে হচ্ছে, এটা ঠিক। কিন্তু যেভাবে বলা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে আমরা হোয়াইট হাউজই ভেঙে ফেলছি। হোয়াইট হাউজকে স্পর্শও করছি না আমরা। একটা সেতু, একটা কাঁচের সেতু দিয়ে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে বলরুমকে যুক্ত করা হবে।’
রাজনীতিতে পা রাখার আগে আবাসন ব্যবসায়ী ছিলেন ধনকুবের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রকল্পের খরচ ২৫ থেকে ৩০ কোটি ডলার; যে অর্থের কিছু জোগান দেবেন ট্রাম্প নিজে, বাকি অর্থের উৎস বিভিন্ন দাতারা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হোয়াইট হাউজে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন সংস্কারকাজে হাত দিয়েছেন তিনি। ওভাল অফিসকে মুড়িয়েছেন স্বর্ণের রঙে, আর নিজের গল্ফ ক্লাবের মতো করে সাজিয়েছেন রোজ গার্ডেনকে।





