ফিফা বিশ্বকাপে প্রথমবার যেমন দলের সংখ্যা হয়েছে ৪৮, সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজন হচ্ছে ৩টি ভেন্যুতে। বিশ্বব্যাপী ফুটবল ও এর উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতেই আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) এমন সিদ্ধান্ত।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর দিন গণনা শুরুর পর যে বিষয়টি নিয়ে ভক্তদের জানার আগ্রহ থাকে, তা হলো নিজের পছন্দের দলটির অবস্থা কেমন, তারা বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি না বা তাদের দলের প্রতিপক্ষ কারা হতে চলেছে। যদিও প্রতিপক্ষ কারা এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিশ্বকাপের ড্রয়ের পরেই।
তবে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা ৪৮ দল নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ফরম্যাটের বিশ্বকাপে কারা যাচ্ছে আর কাদের যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব হিসাব-নিকাশ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে, অনেকগুলো দলই নিশ্চিত করে ফেলেছে তাদের বিশ্বকাপের টিকিট।
অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে, বিশ্বকাপের এবারের আসরটিতে গঠনগত কী কী পরিবর্তন আসতে চলেছে, নতুন দল হিসেবে কারা সুযোগ পাচ্ছে, কোন মহাদেশ থেকে কয়টি দল বিশ্বকাপের টিকিট পাচ্ছে, কেমন হবে নতুন ফরম্যাটের এ বিশ্বকাপের গঠন, কীভাবেই বা হবে এ আসরের খেলাগুলো। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করা যাক তাহলে।
এবারের আসরের আয়োজক তিনটি দেশ কানাডা, মেক্সিকো ও আমেরিকা। সেক্ষেত্রে ৪৮ দলের মধ্যে এ তিনটি দেশের জায়গা আগে থেকেই পাকাপোক্ত থাকছে। বাকি ৪৫ দেশের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে। বাছাইপর্ব শেষে প্রত্যেক মহাদেশ থেকে কয়েকটি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে, আর কয়েকটি দেশকে পেরোতে হবে প্লে-অফের বাধা। তখনই প্রশ্ন আসে, কোন মহাদেশ থেকে কয়টি দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে আর কয়টি দল পাবে প্লে-অফ খেলার সুযোগ?
বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার আওতাধীন ৬টি মহাদেশিয় কনফেডারেশন রয়েছে। এ কনফেডারেশনগুলোর প্রতিটি থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক দেশ বা দেশের প্রতিনিধিত্বকারী দল ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়।
ছয় মহাদেশিয় কনফেডারেশনের বিশ্বকাপ স্লট
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)
৪৭ সদস্যবিশিষ্ট কনফেডারেশন এএফসি থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আছে ৮টি দলের এবং একটি দল খেলতে পারবে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফে। এরই মধ্যে এ অঞ্চল থেকে ৮টি দলই (উজবেকিস্তান, জর্ডান, ইরান, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব ও কাতার) বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে এখন এ অঞ্চল থেকে আর ১টি দলের সুযোগ থাকছে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফ থেকে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার। বাংলাদেশ এই কনফেডারেশনেরই একটি অংশ। তবে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত খেলে বাদ পড়েছে দলটি।
আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (সিএএফ)
সিএএফের সদস্য সংখ্যা ৫৬। এ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্লট আছে ৯টি। এরই মধ্যে বাছাইপর্ব থেকে সেই নয়টি স্লটই পূর্ণ হয়েছে, নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নিয়েছে (মরক্কো, তিউনিসিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, ঘানা, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, আইভরি কোস্ট ও কেপ ভার্দে) দলগুলো। এছাড়া এ অঞ্চল থেকেও একটি দলের আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফে খেলার সুযোগ তো থাকছেই।
উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় ফুটবল সংস্থা (কনকাকাফ)
কনকাকাফ কনফেডারেশনটি ৪০টি সদস্য সংস্থা নিয়ে গঠিত। এবারের বিশ্বকাপের তিন হোস্ট বা আয়োজক দেশ এ সংস্থা থেকেই। সে তিন দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো) তো নিশ্চিৎভাবেই থাকছে। পাশাপাশি বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ থাকছে আরও তিনটি দেশের। এ অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচ আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এখান থেকে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফে খেলবে ২টি দল।
ওশেনিয়া ফুটবল সংস্থা (ওএফসি)
১৪ সদস্যবিশিষ্ট এ সংস্থা থেকে বিশ্বকাপের এবারের আসরে সরাসরি অংশ নিতে পারবে কেবল ১টি দল। সেই একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আরেকটি দলের সুযোগ থাকছে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফে খেলে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেন (কনমেবল)
১০ সদস্যবিশিষ্ট এ ফুটবল কনফেডারেশনেরই অংশ সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দল ব্রাজিল। এছাড়া বর্তমান ও তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল আর্জেন্টিনাও আছে এ কনফেডারেশনেই। কনমেবল থেকে সরাসরি ৬ দল সুযোগ পাচ্ছে বিশ্বকাপে খেলার।
এ অঞ্চলের বাছাইপর্বের খেলা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে, এতে ৬টি স্লটেই (আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, কলোম্বিয়া, উরুগুয়ে, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে) দলগুলো নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করেছে। এছাড়া একটি দল খেলতে পারবে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফে, সেখানে তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বলিভিয়া।
ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা)
৫৫ সদস্যের এ কনফেডারেশন থেকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে ১৬টি দল। তবে এ অঞ্চল থেকে আন্তঃমহাদেশিয় প্লে-অফের কোনো স্লট নেই। কনফেডারেশনটির বাছাইপর্বের খেলা সম্প্রতি শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত কেবল ইংল্যান্ড-ই এ কনফেডারেশন থেকে বিশ্বকাপে তাদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। সেক্ষেত্রে আরও ১৫ দলের সুযোগ থাকছে বাছাইপর্ব পেরিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার।
যেমন হচ্ছে ২০২৬ বিশ্বকাপের গঠন
নতুন সংস্করণের এ বিশ্বকাপে গঠনগত পরিবর্তন এবার চোখে পড়ার মতো। দল যেমন ৩২টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮টি, তেমনই বেড়েছে ম্যাচের সংখ্যাও। আগের আসরগুলোতে ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থাকলেও এবার তা বেড়ে ১০৪ এ গিয়ে ঠেকেছে। এ আসরে গ্রুপ পর্ব ও নক-আউট উভয় স্টেজেই পরিবর্তন এসেছে। এবার সেই পরিবর্তনগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।
গ্রুপ পর্ব
আগের বিশ্বকাপগুলোতে যেখানে ৩২টি দলকে প্রথমে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হতো, সেখানে এবার ৪৮ দলকে ভাগ করা হবে ১২টি গ্রুপে। গ্রুপগুলোর প্রতিটিতে দল থাকবে ৪টি করে। গ্রুপ পর্বে প্রত্যেক গ্রুপের ৪টি দলের মুখোমুখি খেলায় যারা পয়েন্ট টেবিলের ১ ও ২ নম্বরে থাকবে, তারা যাবে পরের রাউন্ড, অর্থাৎ ‘রাউন্ড অব ৩২’ এ। এক্ষেত্রে দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪টি। বাকি ৮ দল আসবে গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট টেবিলে ৩ নম্বরে থাকা দলগুলোর মধ্যে থেকে। ১২টি গ্রুপে যারা তৃতীয় স্থান অর্জন করবে, তাদের মধ্যে পয়েন্টের দিক থেকে সেরা ৮ দল যুক্ত হবে প্রথম সারির ২৪ দলের সঙ্গে।
নক-আউট
আগের আসরগুলোতে যেখানে নক-আউট স্টেজ শুরু হতো ‘রাউন্ড অব সিক্সটিন’ দিয়ে, সেখানে এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে খেলতে হবে ‘রাউন্ড অব থার্টি টু’। এরপর ‘রাউন্ড অব সিক্সটিন’, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর -FIFA World Cup 2026 (FAQ)
প্রশ্ন: ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ যৌথভাবে উত্তর আমেরিকার তিনটি দেশ—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), কানাডা (Canada) এবং মেক্সিকো (Mexico)-তে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে মোট কতটি দল অংশগ্রহণ করবে?
উত্তর: এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মোট ৪৮টি দল অংশগ্রহণ করবে। (আগের আসরে ছিল ৩২টি দল)।
প্রশ্ন: তিনটি আয়োজক দেশে মোট কতটি শহরে খেলা হবে?
উত্তর: মোট ১৬টি শহরে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১টি, মেক্সিকোতে ৩টি এবং কানাডায় ২টি শহর রয়েছে।
প্রশ্ন: কোন স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: ফাইনাল ম্যাচটি নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে (MetLife Stadium) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে মোট কতটি ম্যাচ খেলা হবে?
উত্তর: ৪৮টি দলের অংশগ্রহণের কারণে মোট ১০৪টি ম্যাচ খেলা হবে। (আগের ৩২ দলের ফরম্যাটে ছিল ৬৪টি ম্যাচ)।
প্রশ্ন: ২০২৬ বিশ্বকাপের নতুন ফরম্যাট কেমন হবে?
উত্তর: নতুন ফরম্যাটে ৪৮টি দলকে ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল।
প্রশ্ন: গ্রুপ পর্ব থেকে কয়টি দল নকআউট পর্বে যাবে?
উত্তর: প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল (Top 2) এবং সেরা আটটি তৃতীয় স্থান অধিকারী দল (Best 8 third-placed teams) নকআউট পর্বে (রাউন্ড অফ ৩২) যাবে।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো কোন পর্ব যুক্ত হচ্ছে?
উত্তর: প্রথমবারের মতো রাউন্ড অফ ৩২ (Round of 32) বা ৩২ দলের নকআউট পর্ব যুক্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের সময়কাল কত দিন হবে?
উত্তর: এই টুর্নামেন্টটি প্রায় ৩৯ দিন ধরে চলবে, যা ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দীর্ঘতম।
প্রশ্ন: আয়োজক তিনটি দেশ কি সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, আয়োজক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
প্রশ্ন: এশিয়া থেকে কয়টি দল খেলার সুযোগ পাবে?
উত্তর: এশিয়া থেকে দল সংখ্যা বেড়ে ৮টি নিশ্চিত আসন এবং ১টি দল প্লে-অফের মাধ্যমে খেলার সুযোগ পাবে (মোট ৮/৯টি)।
প্রশ্ন: ইউরোপ থেকে দল সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আসছে কি?
উত্তর: ইউরোপের জন্য কোটা বেড়ে ১৬টি দলে উন্নীত হবে (আগে ছিল ১৩টি)।
প্রশ্ন: দক্ষিণ আমেরিকা (CONMEBOL) থেকে কয়টি দল?
উত্তর: দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬টি নিশ্চিত আসন এবং ১টি প্লে-অফের মাধ্যমে খেলার সুযোগ পাবে।
প্রশ্ন: আফ্রিকা (CAF) থেকে কয়টি দল কোয়ালিফাই করবে?
উত্তর: আফ্রিকা থেকে দল সংখ্যা বেড়ে ৯টি নিশ্চিত আসন এবং ১টি দল প্লে-অফের মাধ্যমে খেলার সুযোগ পাবে।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টটি কবে শুরু হবে?
উত্তর: বিশ্বকাপটি সাধারণত ২০২৬ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপের লোগো বা প্রতীক কি?
উত্তর: ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগোটি খুবই সরল: এটিতে '26' সংখ্যাটির উপরে ফিফা বিশ্বকাপের আসল ট্রফিটি (The Trophy) বসানো হয়েছে।
প্রশ্ন: প্লে-অফ টুর্নামেন্ট কেমন হবে?
উত্তর: দুটি করে দল ছয়টি কনফেডারেশন থেকে এসে একটি ছোট ৬ দলের প্লে-অফ টুর্নামেন্টে খেলবে। সেখান থেকে আরও ২টি দল মূল পর্বে যাবে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়দের জন্য বিশ্রামের সময় বাড়ানো হয়েছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, খেলোয়াড়দের সুস্থতা নিশ্চিত করতে টুর্নামেন্টের আগে বিশ্রামের সময় বাড়িয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে।
প্রশ্ন: উদ্বোধনী ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: উদ্বোধনী ম্যাচটি মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক এজটেকা স্টেডিয়ামে (Estadio Azteca) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি কি কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: না, ফাইনাল ম্যাচটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের সেন্টার বেস ক্যাম্প কোথায় হচ্ছে?
উত্তর: তিনটি দেশজুড়ে খেলা হওয়ায় কোনো নির্দিষ্ট সেন্টার বেস ক্যাম্প থাকছে না, বরং দলগুলো তাদের গ্রুপ ম্যাচ অনুসারে বেস ক্যাম্প ঠিক করবে।
প্রশ্ন: ৪৮ দলের ফরম্যাট কখন চূড়ান্ত হয়?
উত্তর: ৪৮ দলের ফরম্যাটটি মূলত ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ফিফা কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়।
প্রশ্ন: সবচেয়ে বেশি ম্যাচ কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: মোট ১০৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রশ্ন: মেক্সিকোয় কি এর আগেও বিশ্বকাপ হয়েছে?
উত্তর: হ্যাঁ, মেক্সিকো এর আগে ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ সালে দুবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে।
প্রশ্ন: অতিরিক্ত দল যোগ হওয়ায় কি কোয়ালিটি কমবে?
উত্তর: ফিফা মনে করছে, কম র্যাঙ্কিংয়ের দলগুলো আসার ফলে টুর্নামেন্টের উত্তেজনা ও বৈচিত্র্য বাড়বে, তবে সমালোচকরা মানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রশ্ন: খেলোয়াড় প্রতিস্থাপন (Substitute) নিয়মে কি পরিবর্তন আসবে?
উত্তর: প্রতিটি ম্যাচে ৫ জন খেলোয়াড় প্রতিস্থাপনের (Substitution) নিয়মটি বহাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্ন: আয়োজক দেশগুলোর জন্য কোন বিশেষ সুবিধা থাকছে?
উত্তর: আয়োজক দেশগুলো তাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো নিজেদের দেশে খেলার জন্য বিশেষ সুবিধা পাবে।
প্রশ্ন: কানাডা থেকে কতটি শহর যুক্ত হচ্ছে?
উত্তর: কানাডা থেকে টরন্টো (Toronto) এবং ভ্যানকুভার (Vancouver) সহ মোট ২টি শহর যুক্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন: ২০২৬ বিশ্বকাপের বিশ্বকাপে কতজন দর্শক সমাগম হতে পারে?
উত্তর: ১০৪টি ম্যাচ এবং বড় স্টেডিয়ামের কারণে মোট ৫ মিলিয়নেরও (৫০ লাখ) বেশি দর্শক সমাগম হতে পারে, যা একটি রেকর্ড।
প্রশ্ন: ২০২৬ বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাসকট কি?
উত্তর: ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাসকট এখনও চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হয়নি। নতুন থিমের ওপর ভিত্তি করে একটি চরিত্র থাকবে।





