দ্রুত গলে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের হিমবাহ

হিমবাহ
হিমবাহ | ছবি: সংগৃহীত
0

দ্রুত গলে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের হিমবাহগুলো। চলতি বছরে বরফ গলনের হার রেকর্ড চতুর্থ সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এই বিপর্যয়। কার্বন নিঃসরণ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে শতাব্দীর শেষে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে সুইজারল্যান্ডের বেশিরভাগ হিমবাহ।

সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চলের হিমবাহগুলো মারাত্মকভাবে সংকুচিত হচ্ছে। গত এক বছরে গলে গেছে বরফের প্রায় ৩ শতাংশ। দেশটির হিমবাহ পর্যবেক্ষণ সংস্থা-গ্ল্যামস জানিয়েছে, শীতকালে কম তুষারপাত এবং গ্রীষ্মে অধিক তাপপ্রবাহ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

গ্লাসিয়াস মনিটরিং সুইজারল্যান্ডের পরিচালক ম্যাথিয়াস হাস বলেন, ‘জলবায়ুর বিপর্যয়ের জন্য এমন হচ্ছে। যদিও অন্যান্য আরও কারণ রয়েছে। শীতকালে এখানে প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে যায়। আমরা এখন যেখানে আছি এখানে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তুষার রয়েছে। জুনের আগেই এখানে বরফ গলতে শুরু করে।’

আরও পড়ুন:

গ্ল্যামসের পরিচালক ম্যাথিয়াস হুস জানান, ২০১৫ সালের পর থেকে সুইজারল্যান্ড তার হিমবাহের এক-চতুর্থাংশ হারিয়েছে। ভয়াবহভাবে ছোট হয়ে গেছে একসময় ইউরোপের সবচেয়ে বড় রোন হিমবাহ। শুধু এ বছরেই এর পুরুত্ব কমেছে গড়ে দেড় মিটার।

ম্যাথিয়াস হাস বলেন, ‘এটি রোন হিমবাহ। যা রোন নদীর উৎস। সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। বরফ যুগে এটি ইউরোপের বৃহত্তম হিমবাহ ছিল। যা মূলত পুরো আল্পস পর্বতমালা জুড়ে ছিল। এখন কেবল এইটুকুই বাকি আছে।’

২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হারিয়ে গেছে প্রায় শ'খানেক হিমবাহ। বাকীগুলোও বিলীন হওয়ার পথে।

তিনি বলেন, ‘এটি দ্রুত গলে যাচ্ছে। প্রতি বছর প্রায় ৮ মিটার পাতলা হয়ে যাচ্ছে হিমবাহটি। বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনই বৈশ্বিকভাবে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না হলে আর কোনোভাবেই এই হিমবাহগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে শতাব্দীর শেষে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে সুইজারল্যান্ডের বেশিরভাগ হিমবাহ।

সেজু