মৌসুমের শেষেও নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তের কাছে ইলিশ অধরা

চাঁদপুরে মাছের আড়ত
চাঁদপুরে মাছের আড়ত | ছবি: এখন টিভি
0

মৌসুম শেষ হতে চললেও এখনো চড়া ইলিশের দাম। সামর্থ্যবানরা কিনলেও ইলিশ অধরাই থেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাছে। চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে বছরজুড়ে ইলিশের সংকটে লোকসানের মুখে পড়েছেন আড়তদাররা। ঐতিহ্যবাহী পাইকারি বাজার পরিণত হচ্ছে খুচরা বাজারে। সংকট চলমান থাকলে বাজারটি বিলুপ্তির শঙ্কা ব্যবসায়ী নেতাদের।

রূপালী ইলিশ কিনতে চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে ক্রেতার ভিড়। বেশিরভাগ ক্রেতাই আসেন ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও আকাশছোঁয়া দামের কারণে হতাশ ক্রেতারা।

ক্রেতারা জানান, মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ঢাকার তুলনায় এখানে দাম বেশি।

ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছঘাট বাজার। অথচ ইলিশ সংকটে তা হারাচ্ছে চিরচেনা ঐতিহ্য। বিগত বছরগুলোতে মাছ ভর্তি ট্রলার এলেও এখন তা নেই। অনেক আড়তদারই ব্যবসা গোটানোর পথে। পাইকারি বাজারটি পরিণত হচ্ছে খুচরা বাজারে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ না থাকায় দুপুর থেকেই আড়ত খালি হয়ে যায়। যত দিন যাচ্ছে তত মাছের দাম বাড়ছে কিন্তু আমদানি কমছে।

মৌসুমের শেষ দিকে এসে মাছের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও ভারতে রপ্তানির ঘোষণায় দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। গেল বছরও মৌসুমে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪ শ’ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি বছর দুই হাজার টাকার নিচে নামেনি মাছের দাম। প্রতিবছর মাছের সরবরাহ কমায় লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে জানান আড়তদাররা। মাছ সরবরাহ কমতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী বাজার বিলুপ্তির শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার বলেন, ‘মাছ না থাকার কারণেই এখন অনেক বড় ব্যবসায়ী ওইদিকে ঝুঁকেছে। কোনোরকম সে টিকে থাকার জন্য। মানুষকে তো কিছু করে চলতে হবে।’

অর্ধ-শতাধিক আড়ত থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আড়তে ইলিশের সরবরাহ নিয়মিত। আর খুচরা দোকানের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক।

ইএ