গেলো বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান চলে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এসময় বগুড়ায় ধান সংগ্রহের কথা ছিল ১২ হাজার ৬শ' ১০ টন। যেখানে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৮১ টন। এরমধ্যে জেলার ১২ উপজেলার ১০টি থেকেই কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। আর চালের ৩২ হাজার টনের জায়গায় সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ৭৫ টন।
কৃষকরা জানান, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান-চাল দেননি তারা।
এক কৃষক বলেন, ‘সরকার খাদ্য গুদামের জন্য ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করে তা বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম। তাই আমরা সরকারের কাছে না বেচে নিজেরাই বাজারে বিক্রয় করি।’
তবে, চালকল মালিকদের দাবি লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা এড়াতে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা লোকসানে চাল দিয়েছেন তারা। আর মিল মালিক সমিতির অভিযোগ, প্রতিবছর বাজার ও সরকারি দরের অসমতায় প্রতি বছর ব্যর্থ হচ্ছে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযান।
১ জন মিল মালিক বলেন, ‘যদি বাজার দামের সাথে বিবেচনা করা না হয় তাহলে মিলগুলো আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না, ব্যবসা সম্পূর্ণ কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। কর্পোরেটরা তাদের ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করে।’
বগুড়া চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘
এমন অবস্থায় আগামীতে বাজারের সাথে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণের কথা জানান জেলা খাদ্য কর্মকর্তা।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুর রহমান রাজু বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত যে দর ছিল তার তুলনায় বাজার মূল্য অনেক বেশি ছিল। ফলে কৃষকরা স্থানীয় বাজারে দর ভাল পেয়েছেন। আগামীতে হয়ত সরকার আরো সুচিন্তিতভাবে এই দর নির্ধারণ করবে এবং আশা করছি এবারের সমস্যাগুলো আগামীবার আর থাকবেনা।’
গেল মৌসুমে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা এবং সিদ্ধ চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭ টাকা। যেখানে হাট-বাজারে মৌসুমের শুরু থেকেই প্রতি কেজি ধান ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা ও চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।