পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহে যাওয়ার ইচ্ছে মানুষের বহুদিনের। সেইসঙ্গে কীভাবে গ্রহে মানুষের স্থায়ী বসবাস শুরু করা যায়-- সেটা নিয়ে চর্চা এখনও চলমান। গ্রহে বাস করা যায় ঠিক এমনই এক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীর। এমন প্রকল্প প্রস্তাবনায় নাসা থেকেও পেয়েছে স্বীকৃতি।
আধুনিক বিশ্বে প্রয়োজন এমন কয়েকশ প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞান মেলায় হাজির শিক্ষার্থীরা। প্রদর্শন করেন, রোবট, রকেট ড্রোনসহ পরিবেশ বান্ধব নানা প্রকল্প। অংশ গ্রহণকারীরা ব্যাখ্যা করেন জীবন মান উন্নয়নে কীভাবে এর বাস্তবায়ন সম্ভব।
বিজ্ঞান মেলায় আধুনিক সব প্রকল্প দেখতে সকাল থেকেই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। প্রযুক্তি আসক্ত প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এই ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা। একইসাথে এখান থেকে দেখে অনেকেই বিজ্ঞান চর্চায় মনোযোগী হওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মূলত দেশের আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করার লক্ষ্যেই এই ধরেন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আয়োজকরা। সেইসঙ্গে এই মেলা আগামীতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান বক্তারা। শুধু তাই না বিজ্ঞান খাতে দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে এ ধরনের আয়োজন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া আপনার জন্য সম্পদ। আপনি সে সম্পদকে, আপনি সে সম্পদকে কাজে লাগাতে চাই।’
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মীর্যা গালিব বলেন, ‘ইনোভেশনের মাধ্যমে দুনিয়া পাল্টানো সম্ভব এ স্বপ্ন আমাদের সবাইকে দেখাতে হবে। যাতে করে ব্রিলিয়ান্ট সাইন্টিফিক মাইন্ড তৈরি হয়।’
বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি আয়োজন করা রুবিক্স কিউবসহ কুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়াও মুসলিম বিজ্ঞানীদের পৃথিবীতে অবদান নিয়েও ছিল প্রদর্শনী।