শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে হঠাৎ ভেসে এলো অচেনা কণ্ঠ। খবর এলো কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরা একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বোমা আছে। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে মুহূর্তেই সেই খবর জানানো হলো বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালককে। শুরু হলো যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা।
ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করার আগেই রানওয়েতে অবস্থান নিতে থাকে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি, বিমান বাহিনী, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ বিভিন্ন সংস্থার ৪ শতাধিক সদস্য।
বিমানটি অবতরণের সাথে সাথেই যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। আর বোম্ব ডিসপোজাল টিম নিষ্ক্রিয় করে দেন বোমাটি। পরে গুরুতর আহত এক যাত্রীকে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
এভাবেই দৃশ্যপট তৈরি করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়ে গেলো নিরাপত্তা মহড়া। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্ব ৫০ মিনিটেই পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হয়। স্বাগত বক্তব্যে তিনি জানান, এই মহড়া দেশের প্রধান বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ এক্সাসাইজের মাধ্যমে আমরা সামগ্রিকভাবে বিমানবন্দরে জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা যাচাই করবো। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে দেশের মর্যাদা ও নিরাপত্তা স্তর আরো উচু স্তরে উন্নীত হবে। এটি শুধু একটি মহড়া না বরং আমাদের সক্ষমতাকে আরো শাণিত করার গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।’
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মহড়া আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিভিল অ্যাভিয়েশনের সীমাবদ্ধতা খুঁজে বের করা এবং বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় তৈরি করবে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী হাইজ্যাক, অগ্নি-নিরাপত্তা, বোমা হামলা সহ বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য প্রতি দুই বছর অন্তর এ ধরনের মহড়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে আজকে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের যে আরো দুটি বিমান বন্দর রয়েছে সেখানে এ মহড়া করার বিষয়ে কাজ করছি। এবং এখান থেকে যে শিক্ষাটি আমরা পাব সেটা যেন আমরা বাকি জায়গায় কাজে লাগাতে পারি।’