ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

সামান্য বেতনেই ক্রিকেট উপভোগ্য করে তোলেন মাঠকর্মীরা

দিনে কাজ করতে হয় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা। অথচ পরিশ্রমের তুলনায় বেতন সামান্যই। তবু দেশের ক্রিকেটকে উপভোগ্য করে তুলতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাজ করে যাচ্ছেন ২৫ কর্মী। আর তাদের জন্য এবার ঈদের চাঁদ হয়ে এসেছে বেতন বৃদ্ধির খবর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসেছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি মেলা। আট দলের প্রতিযোগিতায় এই ভেন্যুর দুই মাঠেই চলছে আসরের সব ম্যাচ। ব্যতিব্যস্ত উইকেটকে সজীব রাখার কাজটা করছেন ২৫ জন মানুষ। দিন রাত ভুলে, সন্তানের মতো যত্ন নিতে যারা ব্যস্ত মাঠের প্রস্তুতিতে।

খেলা শেষে বালতি-বেলচা হাতে কাজে ব্যস্ত থাকা এক মাঠ কর্মীর নাম শুভ্রত মুরং। ২৪ বছরের এই আদিবাসী লাক্কাতুরা স্টেডিয়ামের একজন অস্থায়ী কর্মী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনমনে যখন নাভিশ্বাস তখন শুভ্রতদের গল্পটা কেমন?

শুভ্রত মুরং বলেন, 'বেতন ১১ হাজার। এখন আড়াই হাজারটা বেড়েছে। এখন জিনিসপত্রের অনেক দাম। বাসায় ভাই আছে, মা আছে, দুইটা বোন আছে। অনেক সমস্যা। আড়াই হাজার টাকা বাড়ানোর জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ। এখন মোটামুটি চলতে পারি।'

বেতন বেড়েছে স্থায়ী মাঠ কর্মীদেরও। পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে যা এখন ১৭ হাজার।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একজন মাঠকর্মী বলেন, 'খেলা না থাকলে ৫টা থেকে সাড়ে ৫টায় আমরা যাই। যখন আমাদের পার্মানেন্ট রাখা হয়েছে, মনে অনেক আনন্দ, কাজ করতেও ভালো লাগে।'

১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার এই হাড়ভাঙা পরিশ্রম অবশ্য দিন শেষে বাংলাদেশের একটি জয়েই শান্তি জোগায় মাঠকর্মীদের মনে। তবে কঠিন সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।

শুভ্রত মুরং বলেন, 'আমরা সারাদিন কাজ করি। কিন্তু যেসময় বাসায় যাই তখন আর কষ্ট লাগে না। আনন্দ লাগে অনেক।'

দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগের ক্রিকেটকে আগলে রাখা এসব মাঠকর্মীর আত্মত্যাগের হিসাব হয়তো থেকে যায় আড়ালে। পর্দার অন্তরালের এসব নায়করাই যে ক্রিকেটকে করে তুলে আনন্দের উপলক্ষ্য-এ উপলব্ধি ক'জনের হয়?

এসএস