বছরের শুরুতে ৪০ হাজার ডলারের কম ছিল ক্রিপ্টোর মান। তবে ২০২৪ সালের শেষে তা ছাঁড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি। ছাড়িয়েছে লাখের ঘর। এরপরও থামেনি উত্থান।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের ঊর্ধ্বগতির হার ১৯২ শতাংশ। সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম মূল ধারার মুদ্রা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে বিটকয়েনের।
বিনিয়োগকারীদের একজন বলেন, ‘আশা করছি আমরাই প্রথম এ ধারণা গ্রহণ করছি এবং এ ধারা বজায় রাখতে পারবো। বিটকয়েনের ব্যবহার সমাজে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বলে ধীরে ধীরে মানুষ আরও বেশি এটি ব্যবহার করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে ছয় সপ্তাহে বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় নবনির্বাচিত ট্রাম্প প্রশাসন জোরদার ক্রিপ্টোবান্ধব ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করায় এর প্রভাব পড়ছে বাজারেও। গেলো বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প ঘোষণা দেন দেশটির কৌশলগত তেলের মজুতের মতোই ডিজিটাল মুদ্রারও জাতীয় মজুত গড়ে তোলার।
বিনিয়োগকারীদের একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারিতে যে নতুন সরকার আসতে যাচ্ছে, তাদের কারণে মানুষ যতোটা না ভাবছে, তার চেয়েও বেশি গতিতে এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে অনেক কথা হচ্ছে। মার্কিন কৌশলগত মজুত হোক বা না হোক, এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেক।’
গেলো ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই স্থিতিশীলভাবে ঊর্ধ্বমুখী বিটকয়েন। ফলে বছরের শুরুতে বিটকয়েনে বিনিয়োগ ছিল যাদের, বাজারমূল্যে তাদের অনেকেরই পোর্টফোলিও এখন দ্বিগুণের বেশি। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, বছর শেষ হওয়ার আগেই একেকটি বিটকয়েনের দাম এক লাখ ২০ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে এবং নতুন বছরের প্রথমার্ধে এ অঙ্ক দেড় লাখ ডলারও ছাড়াতে পারে।
আরেকজন বলেন, ‘পুরোটাই আসলে বিশ্বাসের ব্যাপার। কোন মুদ্রাকে আপনি সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করেন? আমার কথা যদি বলি, গ্রেট ব্রিটিশ পাউন্ডের চেয়েও বেশি আস্থা আমার বিটকয়েনে।’
সর্বনিম্ন হিসেবে এক ডলারেরও কম দাম থেকে দেড় দশকের মাথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিটকয়েন। বর্তমানে বিটকয়েনের বাজারমূল্য তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি ডলারের বেশি, ক্রিপ্টোমুদ্রার বাজারে যা নজিরবিহীন।