তাদের অপেক্ষায় কেটে গেছে ৫৩ বছর। ফেরেনি কেউই। তাদের আত্মদানের ফসল লাল-সবুজের এই নিশান, এক খণ্ড স্বাধীন ভূখণ্ড। বাংলার সূর্যসন্তানদের খুঁজে ফেরার দিনটিতে তাইতো স্মৃতির মিনারে আসা।
ভোর থেকেই স্মরণের এই মিছিলে সামিল শিশু থেকে বৃদ্ধ। ছিল তরুণ প্রজন্মের কান্ডারিরাও। ফুলেল শ্রদ্ধা জানান শহীদদের।
বেলা গড়াতেই ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। বাদ যায়নি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। সবার কণ্ঠে ছিল জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির চর্চা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদের উত্থান রুখে দেয়াসহ সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে নেয়ার তাগিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি আমাদের যে ঋণ এবং দায় তা শোধ করার প্রধান উপায় হচ্ছে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করা। আর যার যার পর্যায় থেকে সমাজ বিনির্মাণ ও দেশ গঠনে অবদান রাখা।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের ও মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা সেটাই যারা ধারণ করে তারাই বার বার ফিরে আসবে এই বধ্যভূমিতে।’
পাঁচ দশক পেরিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন আর বিতর্কিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিতের আশ্বাস মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৫৩ বছর আগে, এখন তো নানা ব্যক্তির নানা পরিচিতি দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে ১৯৭১ সালে যে ভূমিকাটা ছিল, সে ভূমিকাটা যেন সেইভাবে নির্ণীত হয়।’