মুক্ত আকাশে লাল সবুজের রঙিন আভা ছড়িয়ে অভিবাদন জানানো হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নতুন অফিসারদের । দীর্ঘ তিন বছর প্রশিক্ষণের পর ৭৪ জনকে নতুন করে যুক্ত করা হয় এ বাহিনীর সাথে।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একাডেমীতে এ আয়োজন করা হয়। যেখানে শুরুতে বাদ্যযন্ত্রে তালেতালে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে নতুন ক্যাডেট কমিশনাররা।
এ সময় কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতায় তাদেরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। যেখানে জল, সড়ক ও আকাশ পথে যেকোনো প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিজ্ঞা নেন তারা। বিমান বাহিনীতে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের কথা জানান ক্যাডেট কমিশনাররা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭১ এর সাথে জুলাই আগস্টের আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করেন বিমান বাহিনীর প্রধান।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত ও পেশাদার বাহিনী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমি বিশেষভাবে স্মরণ করছি বৈষম্য দূরীকরণ ও সর্বস্তরে সাম্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণ হারানো সকল শহীদ ছাত্র ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে। আমি আন্দোলনে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে আহতের সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের আকাশ সীমার উপর আগত যেকোনো হুমকি বা আক্রমণ মোকাবেলা করতে পরিপূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত আছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের অপারেশনের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সর্বক্ষেত্রে স্বনির্ভরশীলতা অর্জনের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’
মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার আকাশসীমা আরও সুরক্ষিত করতে দ্রুতই কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ বিমান ঘাঁটিতে রূপান্তর করা হবে।
সর্বত্র জীবন বিপন্নের মাধ্যমে বাংলার আকাশ মুক্ত রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হলো আরো একদল ক্যাডেট কমিশন। যারা ১৯৭১ ও জুলাই আগস্টের আন্দোলনের মত আগামীতেও দেশ আকাশ ও মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে কাজ করবে সেই বিশ্বাস ও আস্থা সকলের।