হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে আরো রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামি। রায়ে মোট ৫২ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রায়ের পর বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দণ্ড দেয়া হয়েছে, হাইকোর্ট ন্যায়বিচার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় শেষবারের অভিযোগপত্র আইনসম্মত হয়নি তাই আসামিদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হামলার পরদিন দুটি মামলা হয় মতিঝিল থানায়। পরে থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে মামলার তদন্তের ভার যায় সিআইডির হাতে। মামলার চার বছর পর ২০০৮ সালে ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। অভিযোগও গঠন করা হয় ২২ জনের বিরুদ্ধে। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর ২০১১ সালে তারেক রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরো ৩০ জনের নাম উল্লেখ্য করে মোট ৫২ জনকে আসামি করে একটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। এই মামলার বিচারকার্য চলে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২১ আগস্টের ঘটনায় হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনের দুই মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১।
বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয় ১১ জনকে।
গত ৫ আগস্ট কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের পতন হলে, প্রায় ৭ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর বহুল আলোচিত এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য পাঠানো হয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে। ৩১ অক্টোবর শুরু হওয়া মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গ্রহণ শেষ হয় গত ২১ নভেম্বর।