যশোরে প্রায় একমাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার। গেল ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি এলাচ দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে সেই মসলা কিনতে গুণতে হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা।
ঊর্ধ্বমুখী অন্যান্য মসলার দামও। এক হাজার ২০০ টাকার লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা, ৩৯০ টাকার দারুচিনির দাম ৪১০ টাকা। আর কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে মসলার দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, 'যেখানে ১০০ গ্রাম কেনার কথা সেখানে ২৫ গ্রাম কিনতে হচ্ছে। দাম একটু কম হলে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হতো।'
ব্যবসায়ীরা বলছেন ডলার সংকট, এলসি জটিলতার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে বেড়ে মসলার দাম, ফলে কমেছে বেচাবিক্রি। তবে ক্রেতারা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে মসলার দাম।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'সব জিনিসের এলসি হতো, ডলারের দামও কম ছিল তখন আমরা কম দামেই সব বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এখন তো আমাদের কিনতেই হচ্ছে বেশি। আর দাম বেড়ে যাওয়ায় বেঁচাকেনাও কমে গিয়েছে।'
যশোর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা বলেন, 'সরকার থেকে বিভিন্ন আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়া, চাড় দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোক ব্যবসায়ী যেন কারসাজি না করতে পারে, যে দরে কিনেছে তার থেকে অনেক বেশি লাভ করেছে কি না, সেটা আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে নিয়মিত বাজার অভিযানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।'
যশোর জেলায় বছরে মসলার চাহিদা ৫৪০ টন। আর উৎপাদন হয় ২৭০ টন মসলা।