বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রিকেটের ব্যাকরণ শিখতে হলে খেলতে হবে টেস্ট। কৌশলের পাশাপাশি ধৈর্য আর একাগ্রতার মিশেলে এই সংস্করণ হয়ে ওঠে অনন্য। বলা হয় অভিজাত। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মনস্তত্বের এই চূড়ান্ত খেলায় আগ্রহী নন। তারা চান তাড়াহুড়োর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলতে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সবাই টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য উদগ্রীব, সবাই টি-টোয়েন্টি মনে করছে আসল ক্রিকেট। এই ফরমেটের প্রতি খেলোয়াড় একটু বেশি ঝোঁক আছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ার জন্য ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুঁকে পড়াকে দায়ী করা যায়। তবে ক্রিকেট বোর্ডও কি দায় এড়াতে পারে? দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগ বা এনসিএল। সেখানকার পারফর্মাররা কি জাতীয় দলে খেলার মতো যোগ্য হয়ে তৈরি হন?
জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসলে এখানে দেখে বলে দেয়া মুশকিল যে কোন প্লেয়ারটা ন্যাশনাল টিমের জন্য রেডি হয়ে গেছে। এখানে এ টিমের খেলা থাকবে, বিসিএলের খেলা থাকবে সব কিছু দেখেই কেবল একটা সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে।’
তবে জাতীয় দলের এই নির্বাচক বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
আবদুর রাজ্জাক আরো বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে কিন্তু আমাদের ঘরোয়া উইকেটে বেশ ইমপ্রুভমেন্ট এসেছে। এর পাশাপাশি কঠিন খেলার অভিজ্ঞতা তৈরিতে বল চেঞ্জ করা হয়েছে। এছাড়া ফার্স্ট বোলারদেরকেও কিন্তু প্রমোট করা হচ্ছে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসে খেই হারিয়ে ফেলা অনেক ক্রিকেটার দেখেছে বাংলাদেশ। এবার অন্তত সে পথে না হাঁটুক বোর্ড। মান বাঁচাতে, মান বাড়াতে ক্রিকেটার এবং বোর্ড, দুই পক্ষেরই সচেষ্ট হওয়া জরুরি বলে মনে করেন সবাই।