উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

অঙ্গরাজ্যভেদে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যালটেই রায় দিচ্ছেন মার্কিনিরা

৪৭তম প্রেসিডেন্ট, ৩৪জন সিনেটর ও ৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যান বেছে নেয়ার পাশাপাশি অঙ্গরাজ্যভেদে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যালটে রায় দিচ্ছেন ভোটাররা। ১০টি অঙ্গরাজ্যে নির্ধারণ হবে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা বা হরণ, কিংবা গর্ভপাতের সময়কাল বাড়ানো কিংবা কমানোর বিষয়টি। ৪টি অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা রায় দিচ্ছেন মারিজুয়ানাকে বৈধতা দানের বিষয়ে। এছাড়াও ১১টি অঙ্গরাজ্যের গর্ভনরের ভাগ্য এবারের নির্বাচনের ওপর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কামালা হ্যারিস? কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট, ব্যালটে তার রায় দিয়েছেন মার্কিনরা। তবে প্রেসিডেন্টকে বেছে নেয়াই নয়, এর সঙ্গে আরো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের ভাগ্যও নির্ধারণ হয়ে গেছে ৫ নভেম্বরে ভোটের মধ্য দিয়ে।

সিনেটর থেকে শুরু করে সিটি মেয়র এমনকি লোকাল ট্যাক্স কালেক্টরকেও বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা।

আগামী ৬ বছরের জন্য পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ সদস্যের মধ্যে ৩৪টি আসনের জন্য হয়েছে নির্বাচন। সঙ্গে নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভও পাবে ৪৩৫ প্রতিনিধি।

সিনেটর কিংবা কংগ্রেসম্যানের বিষয়টি অনেকে জানলেও এখনো বহু মানুষের কাছে অজানা হলো গর্ভপাতের অধিকারের ইস্যুটি।

১০টি অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে রয়েছে গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়ার প্রশ্ন। অঙ্গরাজ্যগুলো হলো অ্যারিজোনা, নেব্রাস্কা, নেভাডা, ফ্লোরিডা, ম্যারিল্যান্ড, নিউইয়র্ক, মিসৌরি, মন্টানা, কলোরাডো ও সাউথ ডাকোটা। কয়েক কোটি ভোটারের ব্যালটে রায়ের মাধ্যমে জানা যাবে অঙ্গরাজ্যগুলোয় গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, প্রত্যাহার কিংবা গর্ভপাতের সময় বাড়ানো অথবা কমানোর বিষয়টি কীভাবে আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে।

মারিজুয়ানা ব্যবহারের বৈধতার বিষয়ে রায় দেবেন ফ্লোরিডা, নেব্রাস্কা, নর্থ ডাকোটা ও সাউথ ডাকোটার ভোটাররা। এবারের নির্বাচনের ওপর ঝুলে আছে ১১টি অঙ্গরাজ্যের গর্ভনরের ভাগ্য।

শুধু তাই নয়, লেফটেন্যান্ট গভর্নর, অ্যাটর্নি জেনারেল, সেক্রেটারি অফ স্টেট, ট্রেজারার এমনকি এগ্রিকালচার কমিশনারসহ রাজ্য সরকারের ১৬৭ সদস্যকে বেছে নিচ্ছেন ৩০টি অঙ্গরাজ্যের ভোটার। এছাড়াও নির্বাচনের তালিকায় রয়েছেন ৩৭১টি শহরের মেয়র।

অঙ্গরাজ্যভেদে সাধারণত নির্বাচনের ব্যালট হয়ে থাকে দুই বা তিন পাতার। যেখানে বৃত্তে টিক বা ক্রস চিহ্নের মাধ্যমে ভোটাররা নিজেদের রায় দিয়ে থাকেন। সাধারণত ভোট দেয়ার জন্য ১০ মিনিট সময় পান ভোটাররা।

এএইচ