গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর নতুন সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরই রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের সংস্কার করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এসবের ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগ নিয়ে জাতির সামনে রোডম্যাপ তুলে ধরতেই ভাষণের আয়োজন করেন। আজ (শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুপ্রিমকোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিরা। এর সঙ্গে যুক্ত হন সারাদেশের নিম্ন আদালতের বিচারকগণ।
শনিবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের গার্ডেন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
রক্তের বিনিময়ে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ কাজে লাগাতেই বিচার বিভাগের সকল বিচারকদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দুই বিচারক। নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রত্যাশা ও সমস্যা তুলে ধরেন তারা।
বিচার বিভাগের নিরবতা দেশের আইনের শাসনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। বিচার বিভাগে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি বেশি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ঢালাও মামলা ও আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা বন্ধে বিচারকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরে বিচার বিভাগ নিয়ে রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয় গঠন করারই স্বাধীন বিচার বিভাগের পূর্বশর্ত বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি।
মামলার জট কমানো, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমানোসহ দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্সের হুঁশিয়ার দিয়েছেন বিচার বিভাগের প্রধান।
রাজনৈতিক আদর্শের ঊর্ধ্বে ওঠে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিচারকদের নিরাপত্তা, আবাসন সমস্যার সমাধান করার ওপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি।