মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ঘেরাও করার কর্মসূচি দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বিষয়ে হাতে আসা কিছু তথ্য সরাসরি সরকারের শীর্ষ স্তরে পাঠাতে চান।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে কয়েকজন শিক্ষককে জানিয়েছিলেন ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার চিকিৎসক। বেশ কয়েকজনের ইমেইল অ্যাড্রেসও জোগাড় করেছিলেন। যদিও কী তথ্য পেয়েছিলেন কিংবা মেইল পাঠাতে পেরেছিলেন কিনা, সেসব অজানা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালে নিহতের ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করছেন, কিছু জেনে যাওয়ারই মূল্য দিতে হয়েছে ওই চিকিৎসককে।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে একজন বলেন, 'আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার মাস পেরিয়ে গেলেও অপরাধী কে, সেটাই এখনও সামনে আনতে পারেনি প্রশাসন। কিন্তু ন্যায়বিচারের দাবিতে মাসব্যাপী বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার মধ্যে তাদের কর্মক্ষেত্রে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে এমন নির্দেশে হতাশা-ক্ষোভ বেড়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে।'
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে আরও একজন বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় হতাশ ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখাও। জানিয়েছে, বিক্ষোভ থামবে না, বরং সংকট সমাধানের আগ পর্যন্ত আরও জোরালো হবে আন্দোলন। মাসব্যাপী আন্দোলনে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ায় রাজ্যে অন্তত ২৩ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবারের শুনানিতে জানান সুপ্রিম কোর্ট।'
অন্যদিকে, নিহতের পরিবারকে টাকা সেধেছিলেন বলে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি মিথ্যে বলছেন বলে দাবিতে অনড় নিহতের মা।