২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে রূপকথার গল্প লিখে প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক ছিলেন ম্যাচ সেরা ইবাদত হোসেন। পাকিস্তানের মাটিতে পেসারদের দাপটে যখন আরেকটি রুপকথা রচনা করলো বাংলাদেশের পেসাররা, ইবাদত তখন দলের বাইরে।
গত বছর ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পান ইবাদত। এক মাসের ব্যবধানে হয় অস্ত্রোপচার। তারপর একে একে জাতীয় দলের এই পেসার মিস করেছেন ওডিআই বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, থাকতে পারেননি পাকিস্তান সিরিজেও। তবে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার যেনো ইবাদতের ফেরার পালা। এ মাসেই ভারত সফরে দলের সাথে থাকবেন তিনি। কোচিং স্টাফের নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত হবে ইবাদত ভারত সিরিজেই ফিরতে পারবেন নাকি অপেক্ষার পালা আরও দীর্ঘ হবে।
ইবাদত হোসেন বলেন, 'ফিজিও এবং ট্রেইনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে প্রোগ্রাম দিয়েছে, সেটাই ফলো করছি। বাংলাদেশ দলের মনিটরিংয়ে থাকবো। এর জন্য হয়তো আমারেক নিয়ে যাবে ভারতে। যাওয়ার পর তারা আমার ফিটনেস মেজারমেন্ট করবে। আমি যদি যথেষ্ট ফিট থাকি তাহলে ম্যানেজমেন্ট হয়তো ডিসিশন নেবে।'
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে পেসারদের জাগরণ বা উত্থান নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ইবাদত হোসেন। স্পিনিং উইকেট বা পেস উইকেট যেটাই হোক না কেনো ইবাদতের আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যেকোনো দলকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সামর্থ্য রাখে।
ইবাদত হোসেন বলেন, 'আমরা আগে স্পিন ডোমিনেটিং দল ছিলাম। আমাদের কাছে আসলে সবাই মনে করতো যে, বাংলাদেশে গেলেই তো ওরা স্পিনিং ট্র্যাক দেবে। আমাদের এখন ১৫২ গতিতে বল করা পেসার আছে। পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট যে পরিমাণ ইম্প্রুভমেন্ট করেছে তাতে আমরা যে দেশেই যাই তারা উইকেট বানাতে চিন্তা করবে।'
ইবাদত ইনজুরিতে পড়ার পর শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তানজিম সাকিব, নাহিদ রানারা. নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা অনেকটাই পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। এছাড়াও আগে থেকেই আছেন তাসকিন, মুস্তাফিজ, খালেদ আহমেদরা। অবধারিতভাবেই তাই স্কোয়াডে বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। চ্যালেঞ্জ হবে, তবুও এই ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝেই প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার অনুপ্রেরণা খোঁজেন ইবাদত।
তিনি বলেন, 'অনেক হেলথি একটা কম্পিটিশন মনে হয়। আমি চাই আমাদের এরকম ফাস্ট বোলার আরও সাতটা থাকবে। তখন আমার নিজের তাগিদ থাকবে যে, আমার আরও ভালো করতে হবে।'
সেরা ছন্দে থেকেও ইনজুরি ধাক্কায় আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। তবে, হারিয়ে যাবার পাত্র নন তিনি। ইবাদতের কথাতেই মিলল সেই আত্মবিশ্বাস। ইবাদত ফিরবেন, কারণ দেশের হয়ে এখনও অনেক গল্প লেখা যে বাকি তার!