ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শাহরিয়ার শুভ চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন ঢাকায়। তার উপরেই নির্ভর ছিল গোটা পরিবার। শুভর মৃত্যুর ঘটনা শোনার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। ছেলে হত্যার বিচারও চান না কারো কাছে।
৬ বছর আগে রিজিয়া সুলতানার সঙ্গে বিয়ে হয় শুভর। সেই সুখের সংসার যেন তছনছ হয়ে গেছে এক পলকে। ছোট্ট শিশু সন্তানও তার বাবাকে খুঁজছে অপলক দৃষ্টিতে। স্ত্রী রিজিয়া সুলতানাও নিজের এবং সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত।
পরিবার জানায়, ১৯ জুলাই বিকেলে ছেলের জন্য খাবার কিনতে বাইরে বের হন শুভ। পরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মাঝে পড়েন তিনি। এসময় একটি গুলি এসে শুভর মাথায় লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। মাথায় বন্দুকের গুলির আঘাতে খুলি চুরমার ও মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের বর্ণনা লেখা আছে হাসপাতাল থেকে দেয়া মৃত্যুসনদে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা শাহরিয়ার শুভ এসএসসি পাস করার পর যশোরে বিসিএমসি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। পরে একটি বেসরকারি চাকরির সূত্রে থাকতেন ঢাকায়।
তার আয়ের উপর দিয়ে পরিবার চলতো। শুভ'র মৃত্যুতে পুরো পরিবার এখন দিশেহারা।
মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ২৩ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাবার পর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় শুভর মরদেহ।