বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সারি সারি পেঁপে গাছ। সে সব গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে কাঁচা-পাকা পেঁপে। এমন চিত্র পটুয়াখালী'র গলাচিপার কালারাজা গ্রামের। কৃষি এখানকার স্থানীয় মানুষের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই জেলায় বাড়ছে পেঁপের চাষ। যাতে এরই মধ্যে লাভবান হয়েছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
কালারাজা গ্রামের কৃষক বাবুল শিকারি। এ বছর ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেছেন দুটি উন্নত জাতের পেঁপে বাগান। পরম যত্নে গড়ে তোলা গাছে এসেছিলো কাঙ্ক্ষিত ফল। বাগান থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা ছিলো বাবুল শিকারির। তবে এবারের ভারি বৃষ্টিতে গোড়া পচেঁ নষ্ট হয়েছে বাগানের বেশিরভাগ গাছ। লাভতো দূরের কথা, এখন বড় লোকসানের শঙ্কায় তিনি। একই অবস্থা এই এলাকার বেশির ভাগ পেঁপে বাগানের।
কৃষক বাবুল শিকারি জানান, তার প্রতিটি গাছ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করা কোন ব্যাপার ছিল না। সেখানে প্রতিটি গাছ থেকে এখন ৫০ টাকার পেঁপে বিক্রি করা মেলা ভার। এই অবস্থায় কৃষি বিভাগের সহায়তা চেয়েছেন কৃষকরা।
পটুয়াখালীর জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের আশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে সরকারিভাবে সহায়তা দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হবে প্রণোদনা।
পটুয়াখালীতে এ বছর ২৮০ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁপে।