দেশে এখন , স্বর্ণের বাজার
বাজার
0

রাজধানীতে চলছে তিনদিনের আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী

দেশে প্রথমবারের মতো চলছে তিনদিনের আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী। এতে অংশ নিয়েছে, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীনসহ ১০ দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান। স্বর্ণশিল্পের গতি আনতে প্রযুক্তি আমদানির ক্ষেত্রে চড়া শুল্কহার পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাজুস।

দেশের কারিগরদের হাতে তৈরি গহনার মুন্সিয়ানা প্রাচ্য থেকে পাশ্চত্যে নতুন কিছু নয়। তবে কারিগরদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কিংবা আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতা কতটুকু ছুঁয়েছে জুয়েলারি শিল্পকে।

দেশের বাজারে স্বর্ণশিল্পের সব ধরনের আধুনিক মেশিনারিজ পরিচয় করিয়ে দিতে দেশীয় জুয়েলারি সংগঠন বাজুস ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস রাজধানীর আইসিসিবিতে যৌথভাবে আয়োজন করেছে প্রথম আন্তর্জাতিক মেশিনারিজ প্রদর্শনী। যেখানে এক ছাদের নিচে জুয়েলারি শিল্পের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছেন ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ ১০ দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।

প্রদর্শনীকারীদের একজন বলেন, 'স্বর্ণের জিনিস হাতে তৈরি করলে তারের পাত বা ভরিতে ৮ থেকে ৯ শতাংশ লস হয়ে যায়। যে স্বর্ণটা কারিগররা খুঁজেই পায় না।'

আরেকজন বলেন, 'অবাক হয়ে যাচ্ছি  আমাদের শুধু মেশনারিজ দেখতে এত লোক আসবে।'

প্রদর্শনীতে ঘুরতে আসা স্বর্ণব্যবসায়ী ও কারিগররা বলছেন, এসব আধুনিক মেশিনারিজ গহনা তৈরিতে যেমন সময় কম লাগবে তেমনি কমবে কারিগরদের স্বাস্থ্যঝুঁকি।

তবে, এসব প্রযুক্তি আমদানিতে রয়েছে চড়া শুল্কহার, যা ১১ শতাংশ থেকে ১১৩ শতাংশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেশীয় জুয়েলারী সংগঠন বাজুসের দাবি, এসব ক্ষেত্রে শুল্ক হার পুনর্বিবেচনার কথা‌।

বাজুস সহ-সভাপতি সুমিত ঘোষ অপু বলেন, 'এখানে আমদানির ক্ষেত্রে একটা বৈষম্য আছে। আমরা জানি যে এইসব ক্ষেত্রে  ১১ শতাংশ থেকে ১১৩ শতাংশ চড়া শুল্কহার দেয়া আছে। যা বাস্তব সম্মত না।'

এদিকে, আরেক আয়োজক প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস বলছে, স্বর্ণব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে বৃহত্তর পরিসরে এমন আরও আয়োজন করতে চান তারা।

সবার জন্য উন্মুক্ত তিনদিনের এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর পর্দা নামবে ৬ জুলাই।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর