প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, এসব খাদ্যপণ্যে এক মাস সংকট থাকবে না। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তাতে এক সপ্তাহের বেশি চলবে না।
দ্বীপের বাসিন্দা, হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, যে খাদ্যপণ্য আনা হয়েছে তাতে এক সপ্তাহের বেশি চলবে না। এর মধ্যে নতুন করে খাদ্যপণ্য না আসলে আবারও চরম সংকট তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, আড়াইশ' বছর ধরে এখানে মানুষের বসতি। তারা সব সময় নৌপথে নাফ নদী হয়ে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে যাতায়াত বন্ধ, পণ্য আনা নেওয়া বন্ধ। এতে কেউ চিকিৎসা নিতেও দ্বীপের বাইরে যেতে পারছে না তারা। দ্বীপে এ ধরনের সংকট অতীতে কেউ দেখেনি।
দ্বীপের মাঝেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা, সেন্টমার্টিন বিএন ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজের কর্মচারী মুজিবুর রহমান ৩ দিন আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেন্টমার্টিন হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাকে এখনও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে পারেনি।।
সেন্টমার্টিনের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মাশুল আমরা কেন দেবো? আমাদের জলসীমায় আমরা কেন যাতায়াত করতে পারবো না? সরকারের উচিত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। আমরা চাই, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির দ্রুত সুরাহা হোক।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে গত ১০ দিন ধরে টেকনাফের নাফ নদীতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল। এতে দ্বীপজুড়ে তৈরি হয়েছে খাদ্য সংকট। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল কক্সবাজার শহর থেকে দেড়শ' টনের বেশি খাদ্যপণ্যবাহী একটি জাহাজ যায় সেন্টমার্টিনে। যেখানে রয়েছে সরকারি ভিজিএফ সহায়তার ৭৫ টন চাল। এছাড়াও সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীদের নেওয়া চাল, আলু, ডাল, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ নানা পণ্য। এসব পণ্য আজ সকালে খালাস করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপবাসী বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দুই দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন বলেন, দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য যে সব খাদ্যপণ্য গেছে তাতে এক মাস কোন সংকট থাকবে না। যদি সংকট তৈরিও হয় তা নিরসনের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে