দেশে এখন

কোরবানি ঘিরে প্রস্তুত 'টাইগার', 'রাজকুমার'; ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

কুষ্টিয়ার খামারগুলোতে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বিক্রি। এবার জেলার অন্যতম আকর্ষণ বাংলার 'টাইগার' ও 'রাজকুমার' নামে দুই গরু। দুই বছর ধরে পরম যত্নে পালিত 'টাইগার' এর ওজন ৩৭ মণ আর 'রাজকুমার' এর ৩২ মণ। খামারিরা বলছেন, বিশালদেহী এই গরু দুটি থাকবে সেরা তালিকায়। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে সংশয়ে খামারিরা।

'বাংলার টাইগার' নামের বিশালদেহী সাদা কালো রঙের ১ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের গরুটি খামারে বেড়ে উঠেছে পরম যত্নে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নে বাদশার খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গরুটি। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

একই উপজেলায় ডালিম আলীর খামারে পরম যত্নে প্রস্তুত করা হয়েছে 'রাজকুমার' নামে আরেকটি গরু। ওজন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেজি। এটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। তবে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত খামারিরা।

ডালিম হোসেন বলেন, 'যদি গরুতে ঠিকমতো হাত বুলিয়ে না দেই তাহলে গরুই কেঁদে দেয়। এমনভাবে মিলে গেছে যে, পরিবারের সাথেই হাঁটাচলা করে। এগুলা ভালো লেগেছে বলেই 'রাজকুমার' নাম রেখেছি।'

প্রতিদিন গরু দুটি দেখতে ডালিম ও বাদশার খামারে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার লোকজন। দাম দর করতে আসছেন ব্যপারীরাও। স্থানীয়রা বলছেন, এবারের কোরবানির ঈদে পছন্দের তালিকায় থাকবে এই দুটি গরু।

স্থানীয় একজন বলেন, 'প্রতিদিন এই গরু দেখার জন্য আসেপাশে থেকে অনেকে আসে। গরু দেখতে অনেক সুন্দর। এর সৌন্দর্য্য দিয়ে সবারই মন কেড়ে নিয়েছে।'

এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, কুষ্টিয়ায় চাহিদার চেয়ে ৫৫ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারিরা এবার পশুর ভালো দাম পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আল-মামুন। তিনি বলেন, 'দেশি খাবার খাইয়ে, দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা গবাদি পশু লালিত-পালিত করেছে। আমরা তাদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি নানা সময় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি তারা সেভাবেই করেছে।'

কুষ্টিয়ায় এ বছর ঈদ ঘিরে ২ লাখ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোরবানির পশুর।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর