সীমান্তবর্তী হিলি হাকিমপুর উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে নানান জাতের ফসলের চাষ। প্রথমবারের মতো মাঁচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক সোহেল রানা। পেশায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম হলেও নতুন নতুন ফসল চাষ তার নেশা।ইউটিউব দেখে তার নিজ জমিতে চাষ করেছেন হলুদ,কালো ও কমলা রঙের তরমুজ।
সোহেল রানা বলেন, 'যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, আর ফলন যদি ভালো হয় সাথে যদি বাজারদর ভালো থাকে তাহলে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। পরবর্তীতে আরও বড় পরিসরে আবাদ করার চেষ্টা করবো।'
চারা লাগানোর এক মাসের মধ্যে গাছে ফল আসতে শুরু করে । প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৫ থেকে ৭ কেজি যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পিস। বাজারে ভালো দামের আশা এই কৃষকের। রানার তরমুজ চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন আরো অনেকে।
স্থানীয় একজন বলেন, 'তার তরমুজের বাগান দেখে অনেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে আবাদ করতে চাচ্ছে।'
সীমান্তবর্তী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে নানান জাতের দেশি-বিদেশি ফসল। আর কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস উপজেলা কৃষি বিভাগের।
দিনাজপুর হাকিমপুরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, 'কৃষি বিভাগ থেকে সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি কৃষকরা প্রথমবার তরমুজ চাষ করে লাভবান হবেন।'
প্রথমবারের মতো তিন বিঘা জমিতে তিন জাতের তরমুজ চাষে রানার খরচ হয়েছে হয়েছে দেড় লাখ টাকা। আর বিক্রির আশা প্রায় ৪ লাখ টাকার ।