দেশে এখন , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি

রাজশাহীর বাজারে মিলছে গোপালভোগ আম

রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে গোপালভোগ আম। আমের স্বল্পতায় গেল বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আম। তবে এখনো জমে ওঠেনি হাটের আড়ৎ ও বিকিকিনি।

আকাশচুম্বী আমের পুরনো গাছ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নামানো হয় গোপালভোগ আম। প্রাকৃতিক বৈরিতায় আমের আকার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাগানিরা। তবে বাগানে মাটি আর গাছের গুণে আমের আকার অন্যান্য চারা গাছের চেয়ে ঈর্ষণীয় বড়।

স্বল্প আম, বাজারে চাহিদা বেশি। তাই খুব যত্নে নামানো হয় গাছের আম। নামানো আমের মাটিতে লুটোপুটির সুযোগ নেই। গাছে আম কম থাকলেও আকার ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক।

আমচাষীরা বলেন, বাজারে গোপালভোগের খুব চাহিদা। যে হারে ক্রেতা আছে, সেই হারে বাগানে আম নেই। গাছে আম কম হলেও দাম বেশি পাচ্ছি। তাই আমরা পুষিয়ে নিচ্ছি। গত বারের চাইতে প্রতি মণে ৫০০-১০০০ টাকা বেশি পাচ্ছি।

বাগান থেকে আম পেড়ে ঝুড়িতে রাখছেন বাগানিরা। ছবি: এখন টিভি

স্বাদ-গন্ধ আর ঘ্রাণ সব মিলিয়ে আম হয়েছে জ্যৈষ্ঠের মধু। প্রশাসনের ম্যাংগো ক্যালেন্ডারে সময় হয়েছে, তাই কেউ কেউ আম নামিয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। সে আম বাজারে নিতেই হুড়োহুড়ি ব্যাপারীদের।

উপজেলার বাগানগুলো থেকে আটি গুটির সাথে ভ্যানে ভ্যানে সুস্বাদু গোপালভোগ আম এসেছে বাজারে। তবে নামানোর সময় হলেও বাজারে নেই রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ। গোপালভোগের দাম উঠেছে প্রতি মণ তিন হাজার টাকা। যা গেল বছরের চেয়ে দ্বিগুণ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনের দিনগুলোয় তিনগুণ দামে কিনতে হতে পারে এই আম। আর বাজারে আমের দাম পেয়ে লাভের অংক গুণছেন চাষিরা।

গোপালভোগ কিনতে বাজারে ব্যাপারীদের ভিড়। ছবি: এখন টিভি

তবে এখনো আটিগুটি আমে ভরা বাজার। আমের বড় মোকাম আর আড়ৎ জমে ওঠার মতো পর্যাপ্ত স্বাদের আমের সরবরাহ নেই বাজারে। এতে বাইরের ব্যপারীদের অপেক্ষায় আড়ৎদাররা।

বানেশ্বর বাজারের ইজারাদার মাসুদ রানা বলেন, 'এখন গুটি ও গোপালভোগ আম পাওয়া যাচ্ছে। হিমসাগর-আম্রপালি এখনো নামে নাই। ব্যবসা পুরোপুরি জমে ওঠে নাই। আশা করছি ৮-১০ দিনের মধ্যে বাজার জমে যাবে।'

রাজশাহীতে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বাগানে গোপালভোগ আমের গাছ আছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৯টি। যা থেকে আমের উৎপাদন ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৯ মেট্রিক টন। শুধু গোপালভোগ আম থেকেই কৃষকের আয় হবে ৯৪ কোটি টাকা। এ বছর আমের বাণিজ্য ধরা হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকার বেশি।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর