আজ (বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।
বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সকালে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি আহ্বায়ক নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। এ সময় ব্যাংকে ডাকাতি ও অপহরণ তাণ্ডবে ক্ষোভ প্রকাশ করে সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে চলমান সব ধরনের আলোচনা প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শান্তি কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয সম্পর্কিত দু'টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়্ কিন্তু তারা এ চুক্তি ভঙ্গ করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের এ বিষয়ে জানানো হলেও তা শোনেনি। বিক্ষিপ্তভাবে স্থানীয়দের উপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালায়।
তাদের এমন ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ক্ষুব্ধ। এমন অবস্থায় কেএনএফের সাথে আর কোনো সংলাপ চালাবে না শান্তি কমিটি।
আরও পড়ুন ‘অস্ত্র সংগ্রহের লক্ষ্যেই ব্যাংক ডাকাতি হতে পারে’
এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের পর বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে নিরাপত্তা বলয় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরে। এরপরও এই দুই উপজেলাসহ জেলাজুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চলছে যৌথ অভিযান। তবে দু'দিনেও উদ্ধার করা যায়নি সোনালি ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে।
১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফের সদস্যরা। রুমায় তারা অস্ত্রের মুখে মানুষকে জিম্মি করে এবং থানচিতে বাজারে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রধারীরা কোনো টাকা লুট করতে পারেনি। তবে বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলা করে তারা সাড়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়।