বিদ্রোহী জোট পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীর হামলার মুখে মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্য আর অঞ্চলে কোণঠাসা অবস্থায় চলে যাচ্ছে জান্তা সেনারা। পুরো দেশেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কাচিন, কারেন রাজ্য, তানিনথারি, বাগো আর সাগাইং অঞ্চলে চলছে সংঘাত।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি এ রাজ্যে জান্তা সেনাবাহিনীর অন্তত ১১টি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রুটও দখলে নিয়েছে তারা। ৭ মার্চ থেকে কাচিনের ৫০টি সেনা ঘাঁটি দখল করেছে বিদ্রোহী জোট। কারেন রাজ্যে সমরাস্ত্রসহ আরও কয়েকটি ঘাঁটি দখল করেছে এখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
কয়েকটি অঞ্চলে জান্তা সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাত চলছে ব্রাদারহুড এলায়েন্সের। এরমধ্যে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে মিয়ানমারে। তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ডেকে আনা হচ্ছে নেইপিদো, ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়, মাগওয়েসহ কয়েকটি শহরে।
সেনাবাহিনীতে যোগদানের আতঙ্কে দেশ ছাড়ছেন তরুণরা। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বলছে আর ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট বলছে, গেলো সপ্তাহে ১ লাখ তরুণ-তরুণী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও মানুষ দেশ ছাড়বে, কারণ তাতমাদোর হয়ে তারা বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না।
এদিকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের আন শহরে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। এ শহর রাখাইন রাজ্যকে মাগওয়ে অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে। এ শহর বিদ্রোহীদের দখলে গেলে পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এমনটাই আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।